উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনে জমিই সবচেয়ে বড় বাধা। বিধানসভায় সোমবার এক প্রশ্নের জবাবে আইন ও বিচার দফতরের ভারপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এ নিয়ে বলতে গিয়ে কার্যত হাইকোর্টের প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতাকেই দায়ী করেন।
তৃণমূলের শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মনের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১২ সালে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। তার পরের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ওই জায়গায় সফর করে এসে জানান, সার্কিট বেঞ্চের জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছে সেটি ৫০ বছরের কথা ভেবে নেওয়া হয়নি, ২৫ বছরের কথা ভাবা হয়েছে।
এই রিপোর্ট পাওয়ার পর চন্দ্রিমা উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করে একটি সংশোধিত পরিকল্পনা ও ব্যয়ের রিপোর্ট জমা দেন হাইকোর্টে। সেটি এখন বর্তমান প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের দফতরে পড়ে আছে। এর মধ্যে গত ৫ এপ্রিল দিল্লিতে প্রধান বিচারপতি ও মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী ও বিচারপতিদের সামনে এই প্রসঙ্গটি তোলেন চন্দ্রিমা। তিনি বলেন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি ফাইলটি ছাড়া হবে, তত তাড়াতাড়ি সার্কিট বেঞ্চের বাড়ির কাজটি শেষ হতে পারে। উপকার হবে উত্তরবঙ্গের মানুষের।’’