Chandannagar Light

শোভাযাত্রার দুঃখ ভুলতে বাড়তি আলো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় চমক চন্দননগরে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুগলী শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২১ ০০:০১
Share:

তৃতীয়াতেই আলো ঝলমলে চন্দননগর। নিজস্ব চিত্র ।

অতিমারি পরিস্থিতি বাদ সেধেছে ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রায়। তাতে মন খারাপ হলেও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্যক্তরা হাল ছাড়েননি। বরং দুঃখ পুষিয়ে দিতে এ বছর চন্দননগর সাজতে চলেছে আরও বেশি আলোয়। আরও বেশি আলোর গেট, অন্যান্য বারের থেকে অনেক বেশি রাস্তার দু’ধারের আলোর সাজে। সাধারণত ষষ্ঠীর মুখেই জগদ্ধাত্রী পুজোর প্যান্ডেল এবং আলোর সাজের কাজ শেষ হয় চন্দননগরে। তবে এ বার তৃতীয়ার দিনেই দেখা গেল আলো নগরীর ঝলমলে রাস্তাঘাট।

Advertisement

এই প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরের রাস্তার ধারের আলোর সাজের জন্যও থাকছে পুরস্কার। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির নিয়ন্ত্রনে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭১ টি পুজো বারোয়ারী রয়েছে। তাদের সাথে ভার্চুয়াল আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঠিক হয়েছে, এ বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় রাস্তার ধারের আলোকসজ্জার জন্যও পুরস্কার থাকবে। মূলত পুজো কমিটি এবং আলোক শিল্পীদের উৎসাহ দিতেই এই পুরস্কারের ঘোষণা। আর তাতে কাজও হয়েছে। এতদিন জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় গুরুত্ব দিত যে পুজো কমিটিগুলি তারা গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে।

উৎসাহিত হয়েছেন আলোকশিল্পীরাও। আলোক শিল্পী তপন ঘোষের কথায়, ‘‘করোনাকালে এই মন্দার বাজারে কিছুটা হলেও কাজের সুযোগ হচ্ছে।’’ আবার দৈবকপাড়ার পুজো কমিটির কর্মকর্তা অমিত ঘোষের মত, ‘‘শোভাযাত্রা না করতে পারার দুঃখ কিছুটা হলেও কমবে রাস্তার ধারে আলো লাগিয়ে। করোনা কালে সব বিধি-নিষেধ সামলেও চার দিনের জন্য আলোর জোয়ারে ভেসে যাবে ইতিহাসের শহর চন্দননগর।’’ আর তারই আভাস পাওয়া গেল তৃতীয়ার সন্ধে থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement