কেউ কেউ বলছেন, ভাঙড় আন্দোলনের এক বছরের মাথায় বৃহস্পতিবার প্রতিবাদীদের সমাবেশে তেমন লোক হয়নি। কিন্তু ভাঙড় সংহতি কমিটির দাবি, পুলিশ এবং তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের লাগাতার সন্ত্রাসের মধ্যেও ওই সভায় যা ভিড় হয়েছিল, তা যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক। বরং, কমিটির তরফে অনুরাধা দেবের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, রবিবার ভাঙড়ে তৃণমূলের সভায় যদি আন্দোলনকারীদের সভার চেয়ে এক জনও বেশি ভাঙড়বাসী উপস্থিত হন, তা হলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সেলাম’ জানাবেন!
অনুরাধাদেবী এবং জমি-জীবিকা-বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির শঙ্কর দাস, অমিতাভ ভট্টাচার্য শুক্রবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় জানিয়েছিলেন, ভাঙড়বাসী না চাইলে সেখানে পাওয়ার গ্রিড হবে না। অনুরাধাদেবী মনে করান, সিঙ্গুর আন্দোলনের নেত্রী হিসাবে মমতা যে মঞ্চে অনশন, অবস্থান করেছিলেন, তার কোনও পুলিশি অনুমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার পুলিশ বা গুন্ডা দিয়ে সেই মঞ্চ ভাঙেনি। এবং প্রথমে না চাইলেও পরে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। এই প্রেক্ষিতেই অনুরাধাদেবীর প্রশ্ন, ‘‘তা হলে এখন কেন মমতাদেবী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন না?’’ ভাঙড়ের আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বকে বার বার ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ করছে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে অনুরাধাদেবীর জবাব, ‘‘সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় মমতা এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি সিঙ্গুরের বাসিন্দা ছিলেন? নন্দীগ্রামেও কি মমতাদেবীর বাড়ি ছিল?’’ ভাঙড়ে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সোমবার রাণুছায়া মঞ্চে সভাও করবে সংহতি কমিটি।
প্রসঙ্গত, ভাঙড়ের সমাবেশের প্রতিবেদনে শুক্রবার আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্যকে ভুলবশত দলের রাজ্য সম্পাদক লেখা হয়েছিল।