এ বার কোচবিহার, অন্ডাল, মালদহ ও বালুরঘাট থেকে বিমান চালাতে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্র। অন্ডাল ও কোচবিহার থেকে ইতিমধ্যেই বিমান উড়েছে। কিন্তু, যাত্রীর অভাবে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই দুই বিমানবন্দর থেকে উড়ান চালানোর জন্য রাজ্য সরকার এবং অন্ডাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ভর্তুকিও দিয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও বিমানসংস্থা চালাতে রাজি হয়নি।
অন্যদিকে বালুরঘাট বিমানবন্দর সামনের বছরের গোড়াতেই চালু হয়ে যাবে বলে নবান্নের আশা। মালদহের ছোট বিমানবন্দরটি চালু হতে আরও কিছু মাস লাগবে। সম্প্রতি কেন্দ্র যে আঞ্চলিক রুটে বিমান চালানোর নীতি নিয়েছে, তার মধ্যে এই চার বিমানবন্দরই পড়ছে।
সোমবার কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই চার বিমানবন্দর থেকে ছোট বিমান চালানো নিয়ে আলোচনা করলেন বিমান মন্ত্রকের সচিব রাজীব নয়ন চৌবে। কেন্দ্র যে ‘রিজিওনাল কানেক্টিভিটি স্কিম’ চালু করেছে, তাতে ঠিক হয়েছে আঞ্চলিক রুটে উড়ান চালানোর জন্য কেন্দ্রই ভর্তুকি দেবে। আগে যেমন রাজ্য দিত। ঠিক হয়েছে, সেই ভর্তুকির মাত্র ২০ শতাংশ দেবে রাজ্য। এ জন্য রাজ্যকে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে কেন্দ্র। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ মাসুলে ছাড়, দমকল পরিষেবার দিকগুলি দেখতে হবে রাজ্যকে। বৈঠকের পরে রাজ্যের পরিবহণসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, খুব শীঘ্রই বেসরকারি বিমানসংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দেবে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘বিশেষ শর্তেই রাজ্য কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্রের যা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা, তা দিলেই রাজ্য তার অংশ সরাসরি বিমান সংস্থাগুলিকে দেবে। ভবিষ্যতে কোনও কারণে কেন্দ্র তার প্রতিশ্রুতি না মানলে, রাজ্যও চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসবে বলে আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’’
আঞ্চলিক রুটে উড়ান চালানোর জন্য যাত্রীপিছু টিকিটের দাম হিসেবে সর্বাধিক ২৫০০ টাকা নিতে পারবে বিমানসংস্থাগুলি। আলাপনবাবু জানান, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ইউরোপে বিমান পরিষেবা কেন চালু করা যাচ্ছে না, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে মন্ত্রক উদ্যোগী হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।