—প্রতীকী চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত প্রকল্প নিয়ে আবারও কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব। এ বার প্রধানমন্ত্রী গরীর কল্যাণ যোজনা (পিএমজিকেওয়াই) নিয়ে সম্মুখসমরে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও বণ্টন মন্ত্রক এবং রাজ্য খাদ্য দফতর। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার (এনএফএসএ) আওতাধীন রেশন গ্রাহকদের পিএমজিকেওয়াই প্রকল্পে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র। তাই রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যকে সব রসিদে ওই প্রকল্পের উল্লেখ করে দিতে হবে। কেন্দ্রের এমন নির্দেশের পরেই অভিযোগ উঠেছে, এই প্রকল্পকে আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের বড় হাতিয়ার হিসেবে দেখাতে চায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাই রাজ্যকে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, কেবল প্রকল্পের নামই নয়, রেশন খাতে গ্রাহক পিছু কেন্দ্রীয় সরকার কত পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছে, তা-ও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। কিন্ত রাজ্য খাদ্য দফতর কেন্দ্রীয় সরকারের এমন ফরমান মানতে একেবারেই রাজি নয়। দফতরের একাংশের কথায়, প্রত্যেক প্রকল্পের ক্ষেত্রেই কেন্দ্র ও রাজ্য দু’পক্ষকেই অর্থ খরচ করতে হয়। কেন্দ্রীয় নির্দেশ যদি মানতেই হয়, তা হলে ওই রসিদে কেন্দ্রীয় ভর্তুকির পাশাপাশি রাজ্যে খরচ হওয়া অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। পিএমজিকেওয়াই প্রকল্পে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হলেও, রাজ্য সরকারকেও সেই খাদ্য শস্য রেশনে পৌঁছে দিতে বিস্তর খরচ করতে হয়। পরিবহণ খরচ এবং ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশনের অর্ধেক টাকা রাজ্য সরকারকেই খরচ করতে হয়। তাই কেন্দ্রের এমন দাবি কোনও ভাবেই মানা রাজ্য সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে খাদ্য দফতরের কোনও কর্তা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। অক্টোবর মাসের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্না দিতে যাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আয়োজিত ২-৩ অক্টোবরের কর্মসূচিতে হাজির থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রীরাও। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত রেশন প্রকল্প নিয়ে সংঘাতে গেল খাদ্য দফতর। রেশনের রসিদে পিএমজিকেওয়াই প্রকল্পের লোগো লাগানো হবে না, তা-ও ইঙ্গিতে খাদ্য মন্ত্রককে বুঝিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।