পরীক্ষা সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশিকা তাদের বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেছে সিবিএসই। —নিজস্ব চিত্র।
সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় মোবাইল ফোন বা সেই রকমের কোনও যন্ত্র-সহ কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে শুধু চলতি বছরই নয়, পরের বছরও তার পরীক্ষা বাতিল হবে। শুক্রবার সিবিএসই তাদের অধীনে থাকা সমস্ত স্কুলের অধ্যক্ষদের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও ভুয়ো খবর ছড়ালে বা অন্য কারও পরীক্ষার ব্যাঘাত ঘটতে পারে এমন কাজ পরীক্ষা চলাকালীন করলেও সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল, এমনকি পরের বছরের পরীক্ষা বাতিলের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে দেশ জুড়ে ৪৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী ২০৪টি বিষয়ে পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশিকা তাদের বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেছে সিবিএসই। বিস্তারিত ভাবে ওয়েবসাইটেও তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার দিন শুধুমাত্র অ্যাডমিট কার্ড এবং স্কুলের পরিচয়পত্র আনতে পারবে। সঙ্গে থাকতে পারে পেনসিল বাক্স, নীল অথবা কালো বল পেন, জেল পেন, স্কেল, লেখার স্বচ্ছ বোর্ড, ইরেজার, স্বচ্ছ জলের বোতল এবং সাধারণ হাতঘড়ি। পরীক্ষার্থীর পরনে থাকতে হবে স্কুল পোশাক।
কী কী আনা যাবে না তারও একটি বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। সেই নিষিদ্ধ জিনিসের মধ্যে মোবাইল ফোন ছাড়াও আছে ব্লু টুথ ইয়ার ফোন, মাইক্রোফোন, পেজার, হেল্থ ব্যান্ড, স্মার্ট ওয়াচ, ক্যামেরা। সঙ্গে রাখা যাবে না মানিব্যাগ, গগলস ক্যালকুলেটর বা পেন ড্রাইভও।
হলে পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে কী কী করা যাবে না, তার নির্দেশিকাও প্রকাশ হয়েছে। বলা হয়েছে, পরীক্ষার খাতা ছাড়া অন্য কোথাও লিখলে সঙ্গে সঙ্গে সেই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যেতে পারে। পরীক্ষার খাতায় অপ্রাসঙ্গিক কোনও কথা, অশ্লীল শব্দ লিখলে, খাতায় টাকা সাঁটিয়ে রাখলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সমাজমাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্ন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করলে শুধু সেই বছরের নয়, পরের তিন বছরের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল হবে। নকল করতে গিয়ে ধরা পড়লে বা উত্তরপত্র বাইরে নিয়ে গেলেও সব পরীক্ষা বাতিল হবে।