—ফাইল চিত্র।
বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর বিরুদ্ধে শুনানি পর্ব শুরু করতে চায় সিবিআই। সেই কারণে কলকাতার জেল থেকে গৌতমকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। পনজি স্কিম তদন্তে গঠিত ভুবনেশ্বরের বিশেষ আদালত ইতিমধ্যে গৌতমকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে গিয়ে জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতার জেল কর্তৃপক্ষকে সিবিআই তা জানিয়েছে। এখানকার আদালতে বিষয়টি জানিয়ে রোজ ভ্যালির মালিককে ওড়িশা নিয়ে যাওয়া একপ্রকার পাকা বলেই জানাচ্ছেন সিবিআই কর্তাদের একাংশ।
যদিও কলকাতার প্রভাবশালীদের একাংশ গৌতমকে এখানকার জেলে রাখতেই বেশি উৎসাহী বলে দাবি সিবিআিইয়ের। এর আগেও সিবিআই তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যেতে পারেনি। এ বার বিশেষ আদালতের নির্দেশ নিয়ে তারা পাকাপোক্ত ভাবে নেমেছে বলে খবর। তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তার কথায়, ‘‘রোজ ভ্যালির মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তে চার্জশিট পেশ হয়েছে ভুবনেশ্বরে। চার বছর পার হয়ে গিয়েছে। এ বার সেখানে শুনানি পর্ব শুরু করতেই হবে। আমানতকারীদের থেকে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল রোজ ভ্যালি। রাজ্যের বহু প্রভাবশালী এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।’’
সিবিআই সূত্রের খবর, সারদা তদন্ত শেষ পর্বে চলে এসেছে। এর পরে চলতি বছরের মধ্যেই রোজ ভ্যালি তদন্ত শেষ করার দিকে এগোচ্ছে তারা। নানা কারণে কলকাতার জেলে বসে গৌতম সিবিআইয়ের সঙ্গে ‘পূর্ণ সহযোগিতা’ করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন, দাবি সিবিআইয়ের। যদিও তাঁর আইনজীবীরা চাইছেন, কলকাতার জেলেই বন্দি থাকুন রোজ ভ্যালির মালিক। শুনানি শুরু করার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন সিবিআই কর্তারা।
সিবিআই কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সারদার চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি হয়েছে রোজ ভ্যালিতে। ২০১৪তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। ২০১৫-এর মার্চে প্রথম গৌতমকে গ্রেফতার করে ইডি। যদিও তাঁর ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন সে সময় ইডি বাজেয়াপ্ত করেনি। ইডি কেন গৌতমকে এমন ছাড় দিয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। গৌতমের স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর সঙ্গে ইডি কর্তাদের একাংশের যোগাযোগ নিয়েও নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে। কী ভাবে রোজ ভ্যালির সমস্ত হোটেল ব্যবসা বহাল তবিয়তে চলছে, তা-ও তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে এসেছে। গৌতম কলকাতার জেলে বসে ব্যবসা নিয়ে বেশ সক্রিয় বলেই খবর পেয়েছে সিবিআই।