—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
২০১৪ সালে প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের পরীক্ষা টেটের শংসাপত্র চেয়ে মামলা করেছিলেন কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দাবি করেছিল, এই নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতেই রয়েছে সব তথ্য। যদিও সিবিআই আদালতে সেই দাবি উড়িয়ে জানিয়েছে, ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) যারা মূল্যায়ন করেছিল, সেই সংস্থা আগে পর্ষদের কাছে সব তথ্য তুলে দিয়েছে। শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে হাই কোর্টে।
হাই কোর্টে ৬০ জন চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছিলেন। তাঁদের আবেদন, ২০১৪ সালের টেটের শংসাপত্র দেওয়া হোক। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানায়, ওই টেটের ওএমআর মূল্যায়ন করেছে এস বসু রায় কোম্পানি। ২০১৪ সালের এই টেট নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত চলছে। তাদেরও আওতায় সমস্ত তথ্য রয়েছে। সে কারণে, তারা কোনও তথ্য দিতে পারবে না। পর্ষদের তরফে এ-ও দাবি করা হয়েছে যে, ওই প্রার্থীরা সঠিক পদ্ধতিতে সঠিক সময়ে আবেদন করেননি। সে কারণে তাঁদের শংসাপত্র দেওয়া যায়নি।
বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবী বৃহস্পতিবার জানান, পর্ষদের এই বক্তব্য সঠিক নয়। ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০৩ জন টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীর সব তথ্য পর্ষদের কাছে রয়েছে। চালান দেখিয়ে সিবিআই দাবি করেছে, ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল এই তথ্য পর্ষদকে হস্তান্তর করেছে এস বসু রায় কোম্পানি। এই শুনানি বৃহস্পতিবার শেষ হয়নি। শুক্রবার আবার মামলাটি শোনা হবে।