RG Kar Hospital Incident

রাতেই হাওড়ার আরও এক ঠিকানায় সিবিআই হানা! এ বার গোয়েন্দাদের নজরে ওষুধের দোকানের মালিক

আরজি করে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগের তদন্তে রবিবার রাতেই হাওড়ার আর এক ঠিকানায় হানা দিল সিবিআইয়ের দল। এ বার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে ওষুধের দোকানের মালিক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৪ ২১:২৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আরজি করে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগের তদন্তে রবিবার রাতেই হাওড়ার আর এক ঠিকানায় হানা দিল সিবিআইয়ের দল। এ বার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে ওষুধের দোকানের মালিক।

Advertisement

রবিবার সকালে হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসুদেবপুরে বিপ্লব সিংহ নামে এক ওষুধ সরবরাহকারীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআইয়ের দল। রাত ৯টা পর্যন্তও তারা সেখান থেকে বেরোয়নি। তার মধ্যেই রবিবার রাত ৮টা নাগাদ সাঁকরাইলেই বাসুদেবপুরের শিবতলার কাছে জনৈক সুমন হাজরার বাড়িতে তদন্তকারী সংস্থার সাত সদস্যের একটি দল যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুমনের একটি ওষুধের দোকান রয়েছে মৌড়ি মিলগেট এলাকায়। আরজি কর হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর যাতায়াত রয়েছে। তাঁর সূত্রেই আরজি করে ওষুধ সরবরাহের কাজ শুরু করেছিলেন বিপ্লব। সিবিআই আধিকারিকেরা যখন সুমনের বাড়িতে পৌঁছন, তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবর পাওয়ার পর বাড়িতে ফেরেন তিনি।

রবিবার সকালে একাধিক দলে ভাগ হয়ে নিজ়াম প্যালেস থেকে বেরোন সিবিআই কর্তারা। বেলেঘাটা থেকে টালা, কেষ্টপুর থেকে হাওড়া— বেশ কয়েক জনের বাড়ি ও অফিসে হানা দেন তাঁরা। সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের দল। কিন্তু তখনই তারা ভিতরে ঢুকতে পারেনি। বাইরে ৭৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছিল সিবিআই আধিকারিকদের। এর পর সকাল ৮টা ০১ মিনিট নাগাদ বাড়ির দরজা খোলেন সন্দীপ। তার পরেই ভিতরে প্রবেশ করেন গোয়েন্দারা। রাত ৯টা নাগাদ সন্দীপের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা।

Advertisement

সন্দীপ ছাড়াও আরজি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয়ের এন্টালির বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআইয়ের দল। পরে দুপুর নাগাদ সঞ্জয়কে নিয়ে ট্যাংরার একটি ফ্ল্যাটে যান তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটটি সঞ্জয়ের স্ত্রীর। রাত ৯টা নাগাদ পাওয়া খবর, সেখানেই রয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা। সিবিআইয়ের দল আরজি করের প্রশাসনিক ভবন ও হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের শিক্ষক দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ প্রশাসনিক ভবন ছেড়ে সিবিআইয়ের দল যায় হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক ভবনে। এখনও সেখানেই রয়েছেন তারা। অন্য দিকে, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ দেবাশিসের কেষ্টপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআইয়ের দল। তবে দেবাশিসকে সঙ্গে নিয়েই বেরিয়েছে তারা। সিবিআই সূত্রে খবর, দেবাশিসকে নিজ়াম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দেবাশিস ‘সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ’। এ ছাড়াও সিবিআইয়ের দল বেলগাছিয়ার এক ক্যাফে মালিক ও টালার এক ব্যবসায়ী চন্দন লৌহের বাড়িতেও হানা দেয়। ওই দুই জায়গাতেও তল্লাশি অভিযান চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement