নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। ফাইল চিত্র।
তলবি নোটিসটি ইমেলে পাঠানো হয়েছিল সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। আর মঙ্গলবার সকালেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহাকে এক প্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাপসের ছেলে সাগ্নিক বেঙ্গালুরুতে আছেন। তাঁকেও ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সাগ্নিকের বয়ানের ভিত্তিতেই এ দিন বেলা ১১টা থেকে তাপসকে প্রশ্ন করা হয় দীর্ঘ ক্ষণ।
তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাপসের আপ্ত-সহায়ক প্রবীর কয়াল তাঁদের জানিয়েছেন, তাপসের নির্দেশেই বাজার থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা তোলা হয়েছিল। কয়েক দফায় এক কোটি ৪২ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল প্রবীরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে এক কোটি টাকা তুলে তিনি তাপসকে দিয়েছিলেন বলে প্রবীর সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছেন।
সম্প্রতি তাপসের তেহট্টের বাড়ি এবং প্রবীর-সহ তাপস-ঘনিষ্ঠ কয়েক জন তৃণমূল নেতানেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাদের দাবি, সেই সব জায়গা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, সাগ্নিকের অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরে ঢোকার সময় তাপস বলেন, ‘‘আমি দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের শিকার। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার দলীয় কর্মী ও জেলা পরিষদের এক সদস্য ষড়যন্ত্র করছেন। আমার আপ্ত-সহায়ক প্রবীর কয়াল নিজেকে বাঁচানোর জন্য এক-এক সময় এক-এক রকম কথা বলছেন।’’
সিবিআই দফতরে হাজিরার জন্য আগের রাতে ইমেলে নোটিস পেয়ে এ দিন ভোরে রক্ষীকে নিয়ে রওনা দেন তাপস। প্রথমে তিনি যান হাই কোর্টে। সেখান থেকে যান নিজাম প্যালেসে।
সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের পরে বাইরে বেরিয়ে এসে তাপস বলেন, ‘‘আমাকে যত প্রশ্ন করেছে, আমি যতটুকু জানি, সব কিছুর উত্তর দিয়েছি। আমার বাড়ি থেকে কিছু পাওয়া যায়নি।’’ প্রবীর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তাপস জানান, উনি দলের এক জন কর্মী। পশ্চিমবঙ্গের কোনও এমএলএ-র সেক্রেটারি থাকতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শেষ তাপস বলেন, ‘‘আগামী দিনে আমাকে আবার ডাকতে পারে ওরা।’’