ফাইল ছবি
টানা জেরার পর দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বেরোলেন পরেশ অধিকারী। প্রতিমন্ত্রীকে পর পর তিন দিন জেরা করল সিবিআই। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে এমএলএ হস্টেলে যান মন্ত্রী।
এ বার নজরে এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্যের সম্পত্তি। সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছরে শান্তিপ্রসাদ সিন্হা-সহ এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের আয়কর রিটার্ন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি খতিয়ে দেখতে চাওয়া হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতার বেআইনি নিয়োগ হিমশৈলের চুড়ো মাত্র। প্রভাবশালী যোগে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে এসএসসি-র মারফত প্রচুর নিয়োগ করা হয়েছে। পরেশবাবুর মেয়ের বেআইনি নিয়োগের তদন্ত সেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রেরই পথ দেখাচ্ছে। প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমানে শিল্পমন্ত্রী) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশে তৈরি উপদেষ্টা কমিটি-ই বেআইনি।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তদন্তের প্রয়োজনে শিক্ষা সচিব মনীশ জৈনকেও তলব করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সূত্রের খবর, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে মনীশ জৈনের সঙ্গেও কথা বলতে পারে তারা।
শুক্রবার দিনভর জেরার পর শনিবার আবার নিজাম প্যালেসে পরেশ অধিকারীকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেলা ১১টায় নিজাম প্যালেসে যান পরেশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
শুক্রবার মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, তাঁকে এ যাবৎ দেওয়া সমস্ত বেতনও ফেরত দিতে হবে। দু’টি কিস্তিতে ওই টাকা ফেরাতে হবে অঙ্কিতাকে।