সিবিআই চেয়েছিল, আয়কর-কর্তা তাপসকুমার দত্তকে আরও অন্তত চার দিন তাদের হেফাজতে রাখা হোক। আদালত মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে, আরও দু’দিন সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকতে হবে ওই অভিযুক্তকে।
তাপসকে এ দিন বিকেলে রাঁচীর সিবিআই আদালতে বালকৃষ্ণ তিওয়ারির এজলাসে তোলা হয়। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, আরও কিছু নথিপত্র ও তথ্য উদ্ধারের জন্য তাপসকে তাদের আরও জেরা করা দরকার। তাই ওই অভিযুক্তকে চার দিন তাদের হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হচ্ছে। বিচারক দু’দিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
সিবিআই-কর্তারা জানান, তাপসকে জেরা করে হাওয়ালা চক্রের বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সোমবার রাতে তাপসকে রাঁচীর আয়কর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল মিলেছে। কয়েকটি ফাইলের পৃষ্ঠা-সংখ্যা হাজারেরও বেশি। সিবিআইয়ের অভিযোগ, কলকাতার বাসিন্দা তাপস তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ীকে রাঁচী ও হাজারিবাগের বিভিন্ন ব্যবসায় কর ফাঁকির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এবং তার বিনিময়ে ওই সব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা টাকা ঘুষও নেন। বাজেয়াপ্ত করা ফাইল থেকে আরও তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, কলকাতা, রাঁচী ছাড়াও পূর্ব ভারতের অন্যান্য শহরের অনেক ব্যবসায়ী ও সরকারি অফিসার তাপসের হাওয়ালা চক্রে জড়িত। ওই সব ফাইল থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও আয়কর-কর্তার যোগসাজশের সূত্রও মিলেছে।
তাপস এ দিন আদালতে কিছু বলতে চাননি। বেরোনোর মুখে শুধু বলেন, ‘‘এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। বিষয়টি বিচারাধীন।’’