টানা ৩২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি, পুকুর থেকে জল ছেঁচে তোলার পর একটি মোবাইলের হদিস মিলেছে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আরও একটি মোবাইলের খোঁজ এখনও চলছে। অন্য মোবাইলটির হদিস পেতে এ বার আনা হল মাটি কাটার যন্ত্র (জেসিবি)।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। গোয়েন্দাদের তল্লাশি অভিযানের মধ্যে কিছু ক্ষণের জন্য ছাদে গিয়ে নিজের দু’টি মোবাইল বাড়ির পাশের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিধায়কের বিরুদ্ধে। মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে, এই ভেবে পুকুরে চিরুনিতল্লাশি শুরু করেন গোয়েন্দারা। তিনটি পাম্প বসিয়ে পুকুর ছেঁচে জল তোলা হয়। সেই পাম্প বন্ধ করা হয় শনিবার রাত ১টা নাগাদ। প্রাথমিক ভাবে সিবিআই মনে করেছিল, পুকুরের সমস্ত জল তুলে ফেলা গিয়েছে। কিন্তু ভোর থেকে আবার পুকুরে জল বাড়তে থাকে। ভোর ৩টে নাগাদ আরও একটি পাম্প চালানো হয় জল তোলার জন্য। রবিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ ওই পুকুরের সব জল তুলে ফেলা সম্ভব হয়। এর পর ৭টা ৩৫ মিনিট নাগাদ একটি মোবাইল খুঁজে পান গোয়েন্দারা।
কিন্তু অন্য মোবাইলটির হদিস মেলেনি। তার জন্যই জেসিবি এনে পুকুরের মাটি কাটা শুরু হয়েছে। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ নিয়ে আসা হয় জেসিবি। গোয়েন্দাদের পরিকল্পনা, পুকুরের নীচের পাঁক তুলে ফেলা হবে। সেই পাঁক ঘেঁটে জীবনকৃষ্ণের মোবাইল খোঁজা হবে। তদন্তকারীরা এক প্রকার নিশ্চিত যে, ওই পুকুরেই আছে বিধায়কের মোবাইল এবং পেনড্রাইভ।
প্রথম মোবাইলটি উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিবিআইয়ের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তিনি জল থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনটি পরীক্ষা করে দেখছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই পুকুর ঘিরে রেখেছে বলে খবর। কাউকে পুকুরের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না।