Calcutta High Court

কুন্তলের চিঠি মামলা: নিম্ন আদালতের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই

সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা এবং কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ)-কে কুন্তলের চিঠির তদন্ত করতে নির্দেশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৩৬
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। গত ৫ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা এবং কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ)-কে কুন্তলের চিঠির তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আলিপুরের বিশেষ আদালতের বিচারক। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে আবেদন করেছে সিবিআই। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি।

Advertisement

হেফাজতে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত এবং হেস্টিংস থানায় চিঠি লেখেন নিয়োগ মামলায় ধৃত কুন্তল। চিঠির বয়ান মিথ্যা— এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি সিবিআইকে তদন্ত করে দেখতে বলেন। পরে এজলাস পরিবর্তন হয়ে মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে যায়। সেখানেও নির্দেশ অপরিবর্তিত থাকে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান কুন্তল। গত ৪ অগস্ট শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, হেফাজতে নির্যাতন সংক্রান্ত চিঠির অভিযোগে কোনও মতামত দেয়নি হাই কোর্ট। তাই বিশেষ আদালতে অভিযোগ জানাতে বাধা নেই কুন্তলের। তিনি চাইলে চিঠি বিশেষ আদালতে জমা দিতে পারেন। সেই মতো আলিপুরের বিশেষ আদালতে চিঠি লিখে আবেদন করেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা।

এর আগে বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। গত মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানায়, নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করা হবে না। সিবিআইয়ের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে আদালত মনে করছে। তাই তাদের আবেদনটি খারিজ করা হল। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই মামলায় আইন মোতাবেক সিবিআই কোনও স্বস্তির দাবিদার হলে তাতে বাধা দিচ্ছে না আদালত। ফলে ওই চিঠি নিয়ে বহাল থাকে পুলিশ এবং সিবিআইয়ের যৌথ তদন্তের নির্দেশ। তার বিরুদ্ধে এ বার হাই কোর্টে গেল সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement