‘নিয়োগপত্র’ হাতে অতনু বাগীশ। নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ‘ভুয়ো অফার লেটার’ পাওয়া হুগলির যুবক-যুবতীরা শুক্রবারেও জানতে পারলেন না, তাঁদের ভবিষ্যৎ কী! বৃহস্পতিবার বিকেলে হুগলি এইচআইটি (হুগলি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) কলেজ থেকে ফোন করে গুজরাতে প্রশিক্ষণ শিবিরে কারিগরি শিক্ষায় কৃতী ওই চাকরিপ্রার্থীদের যোগ দিতে মানা করা হলেও বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত তাঁরা অন্ধকারে। সরকারি স্তর থেকে এ দিন আর কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলে তাঁদের দাবি। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাজ্য থেকে যেমন নির্দেশ আসবে, তেমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ওই চাকরিপ্রার্থীরা জানান, গত সোমবার কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় হুগলির ১০৭ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল। বুধবার হুগলি এইচআইটি এবং সংশ্লিষ্ট অন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের চিঠি দেওয়া হয়। সুজ়ুকি মোটরের সঙ্গে গাঁটছড়া রয়েছে, গুজরাতের সুরেন্দ্রনগরে এমন সংস্থায় দু’বছরের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ওই ‘অফার লেটার’ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থায় যোগাযোগ করে তাঁরা জানতে পারেন, চিঠি ভুয়ো। বৃহস্পতিবার বিকেলে হুগলি এইচআইটি থেকে তাঁদের ফোনে জানানো হয়, এই মুহূর্তে গুজরাতে যাওয়ার দরকার নেই। সংশ্লিষ্ট দফতর কথা বলছে। তারা জানানোর পরে যোগ দেওয়া যাবে।
চিঠি পাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে খানাকুলের গৌড়ানের অতনু বাগীশ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার বিকেলের ফোনের পরে আর কিছু জানানো হয়নি। ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে আছি। তবে আশা আছে, এত বড় গোলমাল সামনে আসার পরে সরকারি স্তরে কিছু একটা হবে।’’ একই কথা জানিয়েছেন গোঘাটের রকি ঘোষাল, জাঙ্গিপাড়ার রামচন্দ্রপুরের আশিয়া খাতুন, বৈদ্যবাটীর প্রিয়ম সেন, চাঁপদানির সুশীলকুমার যাদবের মতো চাকরিপ্রার্থীরা।
মগরার বাগাটি রামগোপাল ঘোষ হাই স্কুলের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘‘শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, নতুন করে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। তবে, কারিগরি শিক্ষা দফতর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’’ ভদ্রেশ্বরের শ্যামসুন্দর চিল্ড্রেন হাই স্কুলের এক ছাত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের আগে একাধিক বার ফোন করে সেখানে যোগ দিতে বলা হয়। ভুয়ো চিঠির ঘটনা সামনে আসার পরে, কেউ যোগাযোগ করেননি। আশায় ছিলাম। মনে মনে চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। আশাহত হলাম।’’