ঠিক নেই প্রার্থীর, কমিশনে বিজেপি

দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। অথচ নোয়াপাড়া বিধানসভা এবং উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে গেল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৬
Share:

দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। অথচ নোয়াপাড়া বিধানসভা এবং উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে গেল বিজেপি। এ দিনই সাংবাদিক বৈঠকে সিপিএম অভিযোগ করল, তৃণমূল গুলি-বোমা-বন্দুক দিয়ে নোয়াপাড়ায় ভোট দখলের চেষ্টায় নেমেছে। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল বলছে, ওটা সিপিএমের সংস্কৃতি।

Advertisement

তৃণমূল, সিপিএম তো বটেই, কংগ্রেসও ওই দুই কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। বিজেপি পারল না কেন? দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘আমাদের সুপারিশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাঁরা অনুমোদন দিলে ঘোষণা হবে।’’

নোয়াপাড়ার নির্বাচন বিজেপি-তে নবাগত মুকুল রায়ের ‘পরীক্ষা’ বলে মনে করছে দলের একাংশ। কারণ, মুকুলের ‘খাস তালুক’ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মধ্যেই নোয়াপাড়া। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্জুন সিংহের উপর। যাঁর সঙ্গে মুকুলের ‘সুসম্পর্ক’ চির দিনই সুবিদিত। এই অবস্থায় পাল্টা চাল হিসাবে বিজেপি চেষ্টা করছে, ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মঞ্জু বসুকে প্রার্থী করার। মঞ্জুদেবী এ বার শুধু টিকিট পাননি তা নয়, নোয়াপাড়ার নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কোথাও তাঁকে রাখা হয়নি। এ নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই তিনি ক্ষুব্ধ। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে প্রার্থী করলে তৃণমূলের ভোট ভাঙা সহজ হতে পারে বলে মুকুল বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে মঞ্জুদেবীকে দেখাও করিয়ে দেওয়া হয়। উলুবেড়িয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের প্রথম পছন্দ হাওড়ার এক সাংগঠনিক পদাধিকারী। তবে সব কিছুই দিল্লির সিদ্ধান্তর উপর নির্ভরশীল।

Advertisement

নোয়াপাড়া এবং উলুবেড়িয়ার ভোটে ১৪০-১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার জন্য এ দিনই নির্বাচন কমিশনে আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি-র দুই নেতা প্রভাকর তিওয়ারি এবং জয়প্রকাশ মজুমদার।

সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেবের হুঁশিয়ারি, তৃণমূল নোয়াপাড়ায় বুলেট বা লাঠি— যে ভাষা ব্যবহার করবে, তাতেই জবাব পাবে। তাঁর কথায়, ‘‘অর্জুন সিংহ যদি মনে করেন, বুলেট

দিয়ে আমাদের প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায়কে মারবেন, তা হলে প্রত্যাঘাত হবে তাঁর দিকেই।’’ অর্জুনের অবশ্য পাল্টা দাবি, ‘‘গৌতমবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতার মুখে এ সব কথা মানায় না। তবে সিপিএম যা করে থাকে, সেটাই বলেছেন উনি। এটাই ওই দলের সংস্কৃতি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement