সুদীপ্ত গুপ্ত স্মরণে এসএফআইয়ের ছাত্র সমাবেশ। কলকাতায়। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে ‘দুর্নীতিতন্ত্র’ এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ছাত্র-যুবদেরই অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান উঠে এল সুদীপ্ত গুপ্তের স্মরণে ছাত্র সমাবেশ থেকে। কলেজে ছাত্র নির্বাচন বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদে আইন অমান্যে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল এসএফআই নেতা সুদীপ্তের। তাঁর মৃত্যুর ১০ বছর উপলক্ষে রবিবার দীনেশ মজুমদার ভবনের সামনে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করেছিল এসএফআই। রাজ্যে ২০১১ সালের পরে এই প্রথম বার এসএফআইয়ের সদস্য-সংখ্যা এক বছরে এক লক্ষ বেড়েছে। সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের কলেবর এখন ৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই তথ্যকে হাতিয়ার করেই আরও ধারালো ছাত্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব।
রাস্তার উপরে সমাবেশে ভিড়ের জন্য ছুটির দিন দুপুরে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোডের একাংশ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শিয়ালদহ স্টেশন এবং আরও কিছু জায়গা থেকে কয়েকটি মিছিল সমাবেশ-স্থলে এসেছিল। সুদীপ্তের নামে ‘শহিদ বেদি’তে মালা দিতে গিয়েছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র প্রমুখ। সমাবেশে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘লাঠির সামনে, গুলির সামনে দাঁড়িয়ে ছাত্ররা যে লড়াই করছেন, তাকে কুর্নিশ জানিয়ে আমরা মনে করি যে, আপনারাই পারবেন রাজ্যে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের পতাকা তুলে ধরতে। নয়া শিক্ষানীতির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দিতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল। ওরা মিথ্যা স্লোগান, বিষয় সামনে আনবে কিন্তু শিক্ষা, কাজ, স্বাস্থ্যের দাবিতে আমাদের লড়াই চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’’ ছাত্র সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই ছাত্রদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রাজ্যে শিক্ষার দাবিকে সামনে রেখে বাম ছাত্র আন্দোলন ঠিক পথেই এগোচ্ছে।’’
ক্যাম্পাসে আন্দোলনের কথা এসেছে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধর, সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, রাজ্য সভাপতি প্রতীক-উর রহমানদের বক্তব্যে। বাম শরিক দলের ছাত্র সংগঠন ছাড়াও আমন্ত্রণ পেয়ে ছাত্র পরিষদ এবং আইসা-র নেতৃত্ব এ দিন সমাবেশে ছিলেন। সৃজনের বক্তব্য, বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব ছাত্র সংগঠনের ঐক্যের বার্তাই তাঁরা দিতে চেয়েছেন।