কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়
আমন্ত্রিতদের তালিকায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেই নাম ছিল তাঁর। কিন্তু আচার্য-রাজ্যপাল ও রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মধ্যে যে-তরজা চলছে, সেই আবহে প্রশ্ন উঠছিল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সমাবর্তনেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন কি? একই মঞ্চে রাজ্যপাল ও সোনালিদেবীকে দেখা যাবে তো?
শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, সংশয় সত্যি করে বৃহস্পতিবার সেন্ট জেভিয়ার্সের ১৩তম সমাবর্তনে যোগ দেননি সোনালিদেবী। তিনি নিজের বক্তব্য লিখে পাঠিয়েছিলেন। সেটি সমাবর্তন মঞ্চে পড়ে শোনানো হয়।
সোনালিদেবীর অনুপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল। সমাবর্তন মঞ্চে তিনি বলেন, ‘‘শুনেছি, উনি অসুস্থ। আমি যেখানেই যাই, অনেকেই অসুস্থতার কারণে আসতে পারেন না! আশা করা যায়, উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’’ রাজ্যপাল জানান, তিনি যখন পরিষদীয় মন্ত্রী ছিলেন, তখনও অনেক সময় তাঁকে অসুস্থ হতে বাধ্য করানো হত। তার পরেই অবশ্য সোনালিদেবীর প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। বলেন, ‘‘সোনালিদেবী খুবই সদর্থক এবং উদ্যোগী উপাচার্য।’’
আরও পড়ুন: সংবিধান বাঁচাতে লড়াই বেনজির, বলছেন অধীর
এ দিনের অনুষ্ঠানে সেন্ট জেভিয়ার্সের সর্বোচ্চ সম্মান নিহিল উল্ট্রা পুরস্কার পান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আশিসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। ধনখড় বলেন, ‘‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সেন্ট জেভিয়ার্সের সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছেন। তাই এখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য থাকবেন বলে আমি আশা করেছিলাম।’’ সোনালিদেবীর বক্তব্য জানতে ফোন ও এসএমএস করা হয়। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি।
রাজ্যপাল জানান, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পথ দেখাতে পারে। এই প্রতিষ্ঠান যে-ভাবে কাজ করছে, তা অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত। ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘নম্বরটাই সব নয়। ছাত্রদের সামাজিক কাজও করতে হবে।’’
সমাবর্তনে ২৯০ জন স্নাতকোত্তর এবং ১৯৮০ জন স্নাতক ডিগ্রি পান। জেভিয়ার্সের অধ্যক্ষ ডোমিনিক স্যাভিও বলেন, ‘‘পঠনপাঠন থেকে পরিবেশ, সব ক্ষেত্রেই আরও উন্নতির চেষ্টা করে চলেছে আমাদের প্রতিষ্ঠান। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তর স্তরে আরও কিছু পাঠ্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা আছে। কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচ ডি কোর্স চালুর কথা চলছে।’’