Kazi Nazrul University

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এখনই বরখাস্ত নয়, উপাচার্যের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ

সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করেছিলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩ ১৮:৪০
Share:

রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করা নিয়ে উপাচার্যের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

বর্ধমানের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে বরখাস্তের নোটিসের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আপাতত ৩ সপ্তাহের জন্য উপাচার্যের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

Advertisement

ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতিতে যোগদানকারী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সম্পর্কে জানতে হাজিরা-খাতা চেয়েও পাননি। তাই সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘিত হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করছিলেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। এই পদক্ষেপ কতটা আইনসঙ্গত, তা নিয়ে তরজা শুরু হয়েছিল। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

Advertisement

চন্দনের অভিযোগ, কাজে যোগ দিতে গেলে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেন ডেভেলপমেন্ট অফিসার মহেশ্বর মালোদাস। চন্দন বলেন, “মহেশ্বর আমাকে জানান, উপাচার্যের নির্দেশেই এ কাজ করা হচ্ছে। পরে শুনি, আমাকে নাকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।” মহেশ্বরও বলেন, “উপাচার্যের নির্দেশেই এ কাজ করেছি। এর বেশি কিছু জানি না।” উপাচার্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রেজিস্ট্রার। মঙ্গলবার মামলাটি শুনানির জন্য নথিবদ্ধ হয়। বুধবার রেজিস্ট্রারের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে জানান, রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদ। উপাচার্য একক ভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। পাল্টা উপাচার্যের আইনজীবী জানান, রেজিস্ট্রার প্রবেশনারি অবস্থায় আছেন। স্থায়ী নিয়োগ পাননি। ফলে, সরকারি নিয়ম মতো, ওঁকে বরখাস্ত করার এক্তিয়ার উপাচার্যের রয়েছে। নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় এই একই যুক্তি দিয়েছিলেন উপাচার্যও। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি বসু ৩ সপ্তাহের জন্য বরখাস্তের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেন।

এর আগে উপাচার্য বলেছিলেন, “ফেব্রুয়ারির ২ দিন ও মার্চের ১ দিন কর্মবিরতিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানোর বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।” এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “রেজিস্ট্রারের কাছে বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের হাজিরা-খাতা চেয়েও পাইনি। সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement