প্রতীকী ছবি।
কিছু সংখ্যক মামলাকারীর জন্য কি ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রাখা সম্ভব? উচ্চ প্রাথমিকের মামলা চলাকালীন প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ শুরু করা যেতে পারে বলেও শুনানি চলাকালীন পর্যবেক্ষণ উচ্চ আদালতের। শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকের মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানি চলাকালীন ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, কয়েক জনের জন্য উচ্চ প্রাথমিকের প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ আটকে রাখা সম্ভব কি না। মামলাকারীদের সমসংখ্যক আসন ফাঁকা রেখে উচ্চ প্রাথমিকের বাকি শূন্যপদে নিয়োগ শুরু করা যেতে পারে বলেও প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৬ সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিং শেষ হলেও সুপারিশপত্র দেওয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল আছে। সেই সুপারিশপত্র দেওয়ার কাজও শুরু হতে পারে বলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। এই মামলায় মামলাকারীদের সংখ্যা কত, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তা জানানোর নির্দেশও দিয়েছে বিচারপতি চক্রবর্তী এবং বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, বিচারপতি চক্রবর্তী এবং বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার আগে হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে উচ্চ প্রাথমিকের মামলার শুনানি চলছিল। সেই মামলা ছেড়ে দেন বিচারপতি সেন। মেডিক্যালে ভর্তি মামলা নিয়ে বিচারপতি সেন এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে বেনজির সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছিল। তার পরেই বিচারপতি সেন উচ্চ প্রাথমিকের মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান।