কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
নিয়মবিধি না-মেনে এবং নির্ধারিত অর্থের থেকে বেশি টাকা নিয়ে রাজ্যে ডিইএলএড বা প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রমে ভর্তি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। সেই মামলার জেরে ডিইএলএড কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ দিল উচ্চ আদালত। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার জানিয়েছে, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষ কাল, বৃহস্পতিবার নিজেদের বক্তব্য জানাবে। সেই সওয়াল-জবাব পর্ব শেষে রায় দেবে আদালত। তত দিন এই কোর্সে ভর্তি নেওয়া যাবে না।
মামলার আবেদনকারীর বক্তব্য, কোর্সের শিক্ষা দিবস এবং টাকার ব্যাপারে এনসিইআরটি-র নিয়মাবলি মানা হচ্ছে না। ২০২২ সালে যে-পাঠ্যক্রম শুরু হয়েছিল, ২০২৩-এ তা শেষ হওয়ার কথা। অথচ সেই সময়ের আগে চলতি জানুয়ারি থেকেই নতুন করে ভর্তি নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে বেশ কিছু ডিইএলএড কলেজের নাম জড়িয়েছে। ওই সব কলেজ এবং তাদের সংগঠনের কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের সংস্থায় টাকা গিয়েছে বলে অভিযোগ। কী কারণে সেই টাকা লেনদেন হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে ফের নিয়ম লঙ্ঘন করে ভর্তির অভিযোগ ওঠায় ডিইএলএড পাঠ্যক্রম পরিচালনের দায়িত্বে থাকা কলেজ ও আধিকারিকদের ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হল বলে মনে করছেন শিক্ষা ও আইন শিবিরের অনেকে।