—প্রতীকী ছবি।
মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের শুধু নুন-ভাত খেতে দিয়েছিলেন তিনি, এই অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল এক শিক্ষিকাকে। সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে একটি হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই মামলায় স্কুল পরিদর্শক (ডিআই)-কেও যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবারেও কোনও হলফনামা জমা না পড়ায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘‘এটা কি তামাশা হচ্ছে? ডিআই-এর নাম এই মামলায় ইমিডিয়েট যুক্ত করুন। আদালত এখানে আবর্জনা পরিষ্কার করতে আসেনি।’’
চুঁচুড়ার একটি বালিকা বিদ্যালয়ে হঠাৎ পরিদর্শনে এসে শিক্ষা দফতরের অফিসারেরা দেখেন, ছাত্রছাত্রীদের দুপুরের খাবারে শুধু নুন আর ভাত দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সমস্ত দায় এসে পড়ে শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা ঘোষ এবং বিদ্যালয়ের টিচার ইন-চার্জের উপরে। যদিও শিক্ষিকার দাবি, তিনি সে দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। চার বছর আগে তাঁকে সাসপেন্ড করার সেই ঘটনায় মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে।
এ দিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি বসু জানতে চান, ‘‘আপনারা কোন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করলেন? আপনারা যদি এই সম্পর্কে কিছু প্রমাণ দিতে পারেন, তা হলে হলফনামা জমা করুন আদালতে।’’ পর্ষদ জানায়, ডিআইয়ের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয়েছে। কোর্টে উপস্থিত বর্তমান ডিআইকে বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, ‘‘আপনার আগের ডিআই কে ছিলেন? তিনি এখন কোথায় আছেন?’’