গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
পশ্চিম মেদিনীপুরে চার জন ছাত্রীকে পুলিশি হেনস্থার মামলায় কোতোয়ালি মহিলা থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন, কেন চার ছাত্রীকে রাত ২টোর সময় থানা থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হল? গোলমালের আশঙ্কায় প্রতিরোধাত্মক ব্যবস্থা হিসেবে আটক (প্রিভেনটিভ ডিটেনশন) করা হলেও কেন এত রাত পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছিল? বিচারপতি বলেন, “সূর্যাস্তের পরেই ওই চার জনকে ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল।” রাজ্য কোনও নির্যাতন হয়নি বলে দাবি করায় বিচারপতির প্রশ্ন, হাসপাতালের ডাক্তার কি পরীক্ষা না করেই আঘাতের উল্লেখ ও পিঠে এক্স-রে করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন? ১৯ মার্চ মামলার ফের শুনানি হবে।
পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে হাই কোর্টে ছাত্র সংগঠন ডিএসও-র পশ্চিম মেদিনীপুরের এক নেত্রী মামলা করেছেন। যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানোর সময় তৃণমূল ও পুলিশ তাঁদের চার জনকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মামলকারীর কৌঁসুলি জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় এ দিন মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিতে কোর্টে আর্জি জানান। তাঁর বক্তব্য, না-হলে আঘাত নিজে থেকে সেরে প্রমাণ নষ্ট হবে।
রাজ্যের এজি কিশোর দত্তের পাল্টা দাবি, মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা কোনও অসহযোগিতা করেননি। কলকাতা মেডিক্যালে এক্স-রে পরীক্ষায় আঘাত পাওয়া যায়নি। থানায় লীনা মাহাতো নামে মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে জাতিপরিচয় তুলে গালিগালাজের অভিযোগও যথাযথ নয়। লীনা উচ্চবর্ণভুক্ত নন। এমন অভিযোগে আমল দেওয়া উচিত নয়। মামলাকারী প্রয়োজনে দেওয়ানি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও এজি জানান। যদিও বিচারপতির প্রশ্ন, শুনানির শুরুতেই যদি মামলা খারিজ করা হয়, তা হলে কি ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত করা হবে না?