Bengal Teacher Recruitment Case

রাজ্যের দেড় লক্ষের বেশি শিক্ষকের তথ্য চাইল কোর্ট, কী কী জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে? কেন নির্দেশ?

আদালত জানিয়েছে, সরকারি স্কুলগুলির শিক্ষকদের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। ‘বাংলা শিক্ষা’ পোর্টালে ওই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মিশনারি স্কুলের শিক্ষকদের তথ্যও প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৪ ১৮:২০
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

রাজ্যের দেড় লক্ষের বেশি সরকারি স্কুলের শিক্ষকের তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সরকারি হাই স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের তথ্য প্রকাশ করতে হবে রাজ্যকে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে এই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। হিসাব মতো, প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষকের তথ্য প্রকাশ করতে হবে সরকারকে।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের গোথা এআর হাই স্কুলে বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। সেই মামলার সূত্রেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে অনলাইনে সমস্ত হাই স্কুলের শিক্ষকদের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। ‘বাংলা শিক্ষা’ পোর্টালে ওই তথ্য প্রকাশ করতে বলেছে আদালত। হাই স্কুলের পাশাপাশি মিশনারি স্কুলগুলির শিক্ষকদের তথ্যও প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশ বলে জানিয়েছে আদালত।

শিক্ষকদের কী কী তথ্য পোর্টালে প্রকাশ করতে হবে?

Advertisement

আদালত জানিয়েছে, রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের নাম, স্কুলের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, তাঁরা কত দিন চাকরি করছেন, কবে অবসর নেবেন ইত্যাদি তথ্য পোর্টালে জানাতে হবে। কোন স্কুলে কোন বিষয়ের কত শিক্ষক রয়েছে, তা-ও পোর্টালে প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিক্ষকদের সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করতেই এই পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে। এই তথ্যগুলি প্রকাশিত হলে বেআইনি ভাবে কারা নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের শনাক্ত করাও সহজ হবে বলে মনে করছে আদালত।

মুর্শিদাবাদের গোথা এআর হাই স্কুলে বেআইনি শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীর অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপারিশ না দেওয়া সত্ত্বেও ওই শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল। মামলাকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস সামিম। আদালতে এসএসসির দাবি, অন্য এক প্রার্থীর সুপারিশপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন অভিযুক্ত। ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করছে। সেই মামলাতেই এ বার রাজ্যের সব হাই স্কুলের শিক্ষকের তথ্য প্রকাশ করতে বলল আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement