(বাঁ দিকে) মানস মাইতি এবং কলকাতা হাই কোর্ট (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
বিশ্বভারতীর অধ্যাপক মানস মাইতির প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, আগামী ৯ অগস্টের মধ্যে ওই অধ্যাপকের প্রাপ্য টাকা যাতে তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে, তা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রককে নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়াও বিচারপতি জানান, পরবর্তী শুনানিতে বিশ্বভারতীর সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের এবং অধ্যাপককে ভার্চুয়ালি এজলাসে হাজির থাকতে হবে। আদালতের খবর, মানস জেনিভার ‘সার্ন প্রজেক্ট’-এ কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই বাবদই তাঁর ওই সাম্মানিক দক্ষিণা পাওয়া প্রয়োজন।
সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন এই সমস্যার সূত্রপাত। তিনিই অধ্যাপক মাইতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই সময় অধ্যাপক মাইতি ‘সার্ন প্রজেক্ট’-এ কাজের সুযোগ পেলেও উপাচার্য হিসেবে সেই কাজে যাওয়ার অনুমতি দেননি বিদ্যুৎ। বরং মানস মাইতিকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। বরং অভিযোগ, অধ্যাপক মাইতিকে যাতে সার্নের ওই গবেষণা প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয় সে ব্যাপারেও চিঠি লিখেছিলেন তৎকালীন উপাচার্য। শেষমেশ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মানস। আদালতের নির্দেশেই তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয় এবং তিনি সার্নের ওই গবেষণা প্রকল্পে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান। তবে তার পরেও আইনি জটিলতা পুরোপুরি ভাবে কাটেনি।