ফাইল ছবি।
বেতন না মেটালেও ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবেন না বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল ফি মামলায় পুরনো নির্দেশ মনে করিয়ে দিল বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড না দেওয়া, পরীক্ষায় বসতে বাধা দিতে পারবে না স্কুল।
এর আগে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ১০০ শতাংশ বেতন মিটিয়ে দিতে হবে অভিভাবকদের। তা নিয়ে বিভিন্ন স্কুলে সমস্যার অভিযোগ উঠতে থাকে। কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, বেতন না দেওয়ায় পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। কোথাও অভিযোগ ওঠে, দেওয়া হচ্ছে না অ্যাডমিট কার্ড। এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় অভিভাবকদের একটি অংশ। মামলাকারী বলেন, ‘‘গত অক্টোবরে ১০০ শতাংশ বেতন মেটানোর যে নির্দেশ এই আদালত দিয়েছিল, সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়েছে। সোমবার সেই মামলার শুনানি। তাই এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হোক।’’
একটি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ বেতন না মেটানোয় কয়েকজন পড়ুয়াকে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দেননি বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন। সেই মামলাতেই শুক্রবার স্কুলের আইনজীবী আদালতকে জানান, এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশ অধ্যক্ষকে বার বার ডেকে পাঠিয়ে হেনস্থা করছে। শিক্ষা দফতরের কাছে স্কুলের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান স্কুলের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যা করেছি হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে।’’ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই বেসরকারি স্কুল নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে নিষেধ করেছে আদালত। আগামী ১৭ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। বেতন না মেটানোয় কোনও পড়ুয়ার পড়ায় ব্যাঘাত ঘটানো যে যাবে না, তা এ দিন ফের এক বার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।