বিজেপিকে মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি করতে পারবে বিজেপি। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ধর্নার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদের। সেই সঙ্গে মিছিলও করতে পারবেন বিজেপি নেতৃত্ব। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলায় কর্মসূচির দিন এবং সময় জানিয়েছে আদালত। আগামী ২৬ জুলাই কর্মসূচির দিন ধার্য করা হয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে বিদ্যুতের বিল নিয়ে বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচির আবেদনের শুনানি ছিল। আদালত জানিয়েছে, আগামী ২৬ জুলাই বিজেপি বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসির দফতর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে কর্মসূচি করতে পারবে। দুপুর ২.৩০ থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ধর্নায় বসা যাবে সেখানে। এ ছাড়া, কলকাতায় বিজেপির মুরলীধর সেন লেনের কার্যালয় থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত মিছিলও করা যাবে। অনুমতি দিয়েছে আদালত। বিজেপির পক্ষে আদালতে সওয়াল করেছেন আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য।
বিজেপির এই কর্মসূচির জন্য বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচির আয়োজন করতে বলেছে আদালত। এক হাজারের বেশি মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। কর্মসূচিতে এমন কিছু করা যাবে না, যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়। বিজেপির এই কর্মসূচিতে নিরাপত্তা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশও কলকাতার যুগ্ম সচিবকে দিয়েছে আদালত।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে বিজেপি। সিইএসসি বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, দাম না কমলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন। কিছু দিন আগে সিইএসসি দফতরে গিয়ে বিজেপির প্রতিনিধি দল এই সংক্রান্ত দাবিপত্র জমা দিয়ে এসেছিল। প্রতিবাদ কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সেই মামলাতেই কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হল।
সিইএসসির এই পদক্ষেপ নিয়ে নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দাবি, সিইএসসি তাঁকে না জানিয়ে বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধি করেছে। এই সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানতেন না। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ বিদ্যুতের মাসুল বৃদ্ধি করেনি বলে বৈঠকে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে বিদ্যুতের বিল অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। যার জেরে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। অনেকে বলছেন, গ্রীষ্মকালে সারা দিন বাতানুকূল যন্ত্র চালিয়ে রেখেও যে বিল দিতে হয়নি, তা এখন দিতে হচ্ছে। বর্ধিত বিলের প্রতিবাদেই পথে নামতে চলেছে বিজেপি।