আরাবুল ইসলাম। — ফাইল চিত্র।
আরাবুল ইসলামকে জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ জামিন দেয়। বারুইপুরের বিজয়গঞ্জে আইএসএফ কর্মী খুনের মামলায় মঙ্গলবার জামিন পেলেন তিনি। এর আগে অন্য ন’টি মামলায় জামিন পান আরাবুল। আপাতত জেলমুক্ত হবেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক।
আরাবুলের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানিয়েছেন, জামিনের তিনটি শর্ত দিয়েছে আদালত। দু’ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে আরাবুলকে। প্রতি রবিবার বিজয়গঞ্জ থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। এই মামলার তথ্যপ্রমাণাদির ক্ষতি করা যাবে না। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রভাব খাটানো যাবে না।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ‘তাজা নেতা’ আরাবুলকে। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুনের পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দলবদ্ধ ভাবে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে। আগে জামিন চেয়ে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে গিয়েছিলেন আরাবুল। সেখানে তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন। তাঁর আইনজীবী জানান, আরাবুল অসুস্থ। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়, তদন্তের প্রয়োজনে আরাবুলকে তাদের নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে।
এর পরে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আরাবুল। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে একটি মামলায় গ্রেফতারের পরেও আরও দু’টি মামলায় যুক্ত করেছে পুলিশ। আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আরাবুলের স্ত্রী জাহানারা বিবিও। তাঁর অভিযোগ ছিল, লোকসভা ভোটের আগে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একের পর এক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। গ্রেফতারের পরেও নতুন নতুন অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আরাবুলের বিরুদ্ধে কতগুলি মামলা রয়েছে, রাজ্যের কাছে জানতে চায় কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।
এর মাঝেই গত এপ্রিলে আরাবুলকে দলের সাংগঠনিক পদ থেকে সরিয়ে দেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙড় বিধানসভার ‘আহ্বায়ক’ পদ দেওয়া হয়েছিল আরাবুলকে। সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখন তিনি শুধুই তৃণমূলের কর্মী।