(বাঁ দিকে) আনিস খান এবং তাঁর বাবা সালেম খান (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মুখর বাংলা। দিকে দিকে চলছে বিক্ষোভ, অবস্থান, প্রতিবাদ মিছিল। এ বার সেই প্রতিবাদে পা মেলাতে চলেছেন আমতার মৃত ছাত্রনেতা আনিসের বাবা সালেম খান। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে শ্যামবাজারে ধর্না দিতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার আদালত সালেমের আবেদন মেনে ধর্নার অনুমতি দিয়েছে। শনিবার থেকে শ্যামবাজারে ধর্নায় বসছেন সালেম।
ধর্মতলায় ধর্না করতে চেয়ে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন সালেম। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমিও সন্তানহারা। ওঁরাও (মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা) সন্তান হারিয়েছেন। তাঁদের যন্ত্রণা বুঝি। তাই ওই ঘটনার প্রতিবাদে ধর্না দিতে চাই শ্যামবাজারে।’’ শুনানি শেষে ধর্নার অনুমতি দেন বিচারপতি ভরদ্বাজ। তবে কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন তিনি। দুপুর ২টো থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধর্না দিতে পারবেন সালেম। ৩০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।
গত ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলের মধ্যে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দিকে দিকে। প্রতি দিনই কোনও না কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। ধর্মতলাতে বিজেপি লাগাতার অবস্থান করছে। সেই আবহে আনিসের বাবাও এ বার ধর্না কর্মসূচির ডাক দিলেন।
২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার সারদা গ্রামের বাসিন্দা আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। ধরপাকড়ের সময় তিন তলা থেকে পড়ে মারা যান তিনি। আনিসের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। আনিসের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে দু’বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সিবিআই তদন্তের দাবি মেটেনি। ছেলের মৃত্যুর বিচার চাইতে জনতার দরবারে হাজির হয়েছিলেন আনিসের বাবা। এ বার আরজি করের চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচার চেয়ে পথে নামছেন তিনি।