Calcutta High Court

জিটিএ নিয়োগ মামলায় পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি 

রাজ্য পুলিশের তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে তলব না করলে আদালত পদক্ষেপ করবে বলেও শুক্রবার কার্যত হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই মামলায় রাজ্যের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশও করেছেন বিচারপতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ০৭:১৩
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

জিটিএ এলাকায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযুক্তেরা ‘ভিআইপি’ তকমাপ্রাপ্ত কি না, সেই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্য পুলিশের তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে তলব না করলে আদালত পদক্ষেপ করবে বলেও শুক্রবার কার্যত হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই মামলায় রাজ্যের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশও করেছেন বিচারপতি। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা যেতে পারে, এ কথা বলে ৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিবিআইয়ের কৌঁসুলিকেও এজলাসে হাজির থাকতে বলেছেন তিনি। ফের তদন্ত রিপোর্টও তলব করেন বিচারপতি বসু।

Advertisement

এ দিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘এঁরা (এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তেরা) কি ভিআইপি, যে নোটিস দিয়ে ডাকতে পারছেন না? আপনারা পদক্ষেপ না করলে আদালত পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।’’ যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের যুক্তি, এফআইআরে নাম থাকলেই অভিযুক্ত হিসেবে ধরে নেওয়া যায় না।

জিটিএ এলাকায় স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাতে নাম জড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, প্রায় এক বছর আগে এফআইআর দায়ের হলেও তদন্ত করেনি রাজ্য। তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি বসুও বলেন, ‘‘সিট গঠন করে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করা যেতে পারে।’’ যদিও এজি-র দাবি, তলবের আগে অভিযুক্ত না সন্দেহভাজন, বিবেচনা করা দরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement