ফাইল চিত্র।
বেসরকারি স্কুলের খরচ ও অন্যান্য দিক খতিয়ে দেখতে যাদবপুর বিশ্ববদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস-সহ দুই সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, ১৫ অগস্টের মধ্যে যাঁরা স্কুল ফি দিতে পারেননি, তাঁদের আরও এক সপ্তাহ সময় দেওয়ার কথা বলেছে কোর্ট।
সোমবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে স্কুল-ফি নিয়ে মামলার শুনানি হয়। ১২১টি বেসরকারি স্কুল কোন খাতে কত খরচ করছে, তার বিস্তারিত হিসেব জানতে চায় আদালত। তার পরেই বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার কথা জানিয়ে বিচারপতিরা বলেন, আলাদা কমিটি থাকলে স্কুলগুলো কোন খাতে কত খরচ করছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে। সুরঞ্জনবাবু বাদে অন্য কে কমিটির সদস্য হবেন, তাঁর নাম জানাতে হবে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে। স্কুল ফি-র হিসেব দেখার জন্য এক জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নিয়োগ করতে পারবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সুরঞ্জনবাবু এ দিন বলেন, “পড়ুয়া, শিক্ষক, অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ সকলের স্বার্থ বিচার করে, পড়াশোনা যেন ঠিক মতো হয় তা দেখে মতামত দেওয়ার চেষ্টা করবে কমিটি।”
বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের মাত্রাছাড়া ফি নেওয়া, যখন-তখন ফি বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ফি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন টাউন হলে। একটি কমিটিও গড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা মহলের বক্তব্য, কাজের কাজ কিছু হয়নি। ফলে এ দিনের নির্দেশে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে অভিভাবকেরা।
আরও পড়ুন: নতুন ফরমানে ডিএলএডের শংসাপত্র অমিল
অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, অনেক স্কুল ৮০% ফি নিতে চাইছে না। তারা পুরো ফি দিতে বলছে। কোর্ট বলেছে, কেউ পুরো ফি দিতে না-পারলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।