দেবেন্দ্রনাথ রায়। —ফাইল চিত্র।
হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডিকে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিও সিআইডি-র উপরই আস্থা প্রকাশ করেন।
রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই জানিয়ে, স্বামীর মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেম মৃত বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা। তাঁর আইনজাবী ব্রজেশ ঝা আদালতকে জানান, পুলিশ ময়নাতদন্ত হওয়ার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে বিধায়ক আত্মহত্যা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য পুলিশের তদন্ত সঠিক পথে হচ্ছে না। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেবেন্দ্রনাথের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ এখনও পর্যন্ত তদন্তে যে পথে এগিয়েছে সে সম্পর্কে রিপোর্ট দেওয়া হয়।
বিচারপতি শিবপ্রকাশ দু’পক্ষের সওয়াল শুনে চাঁদিমার আবেদন খারিজ করে নির্দেশ দেন যে এই তদন্ত চলবে সিআইডির এডিজি-র তদারকিতে। সেই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে সিআইডি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ময়নাতদন্তের দ্বিতীয় মতামত বা সেকন্ড ওপিনিয়ন নেবে এবং আদালতে জমা দেবে।
আরও পড়ুন: গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু রাজ্যে, এ বার থেকে সপ্তাহে দু’দিন পূর্ণ লকডাউন
আরও পড়ুন: বেহাল রাজ্য, শাহকে নালিশ রাজ্যপালের
হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়কে তাঁর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে একটি বাজারের সামনে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল মৃতের জামার পকেট থেকে দুই ব্যক্তির নাম, ছবি এবং ফোন নম্বর সহ একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত ভার নেয় রাজ্য সিআইডি। তাঁরা ওই দুই ব্যক্তির একজন নিলয় সিংহকে মালদহ থেকে গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও জানানো হয় গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে বিধায়কের। দেহে অন্য কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা আত্মহত্যার দিকেই ইঙ্গিত করেন। সিআইডি তদন্তে উঠে আসে বিধায়ক এবং ধৃতের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের প্রসঙ্গ। সঙ্গে স্থানীয় সমবায় ব্যঙ্কের আর্থিক অনিয়মও উঠে এসেছে তদন্তে। যে সমবায় ব্যঙ্কের ম্যানেজার ছিলেন বিধায়ক।