—ফাইল চিত্র।
জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার দু’টি মামলায় আপাতত কোনও বিজেপি বিধায়ককেই তলব করতে পারবে না পুলিশ। আগের নির্দেশই বহাল রেখে বুধবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। একক বেঞ্চ আগেই এই মামলাকে ‘ছেলেমানুষি’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছিল। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে এখনও পর্যন্ত কোনও শুনানি হয়নি। তাই একক বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দ্বিতীয় মামলাতেও তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে না পুলিশ। পাশাপাশি, হাই কোর্টের নির্দেশ ছাড়া দেওয়া যাবে না চার্জশিটও। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দু’টি মামলারই শুনানি হতে পারে একক বেঞ্চে। যদি প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে থাকা মামলার শুনানি আগে হয়ে যায়, তবেই।
বিতর্কের সূত্রপাত, গত মাসে বিধানসভায় একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়কেরা। ওই একই সময়ে তৃণমূলের বিক্ষোভস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিজেপি বিধায়কেরা পাল্টা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তুলছিলেন সরকার-বিরোধী স্লোগান। তৃণমূল বিধায়কেরা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়েও বিজেপি শিবির থেকে স্লোগান শোনা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে বিধানসভার স্পিকারের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা পড়ে। ওই ১২ জনের তালিকায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের নামও ছিল। পরে সেই নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
বাকি ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র লালবাজারে পাঠিয়ে দেন স্পিকার। সেখান থেকে বিধায়কদের নোটিস পাঠিয়ে তলব করে কলকাতা পুলিশ। ওই এফআইআর চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়কেরা। তারই শুনানিতে বিচারপতি রাজ্যকে ওই মামলার জন্য ভর্ৎসনা করে বলে, ‘‘এটি একটি ছেলেমানুষি মামলা।’’ একই সঙ্গে এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা মামলায় বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।