—প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষার (টেট) ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলার শুনানি মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শেষ হয়েছে। তবে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন রায়দান স্থগিত রেখেছে। ২০১৭ এবং ২০২২ সালের টেট-এ প্রশ্ন ভুল নিয়ে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, ২০১৭ সালের প্রশ্ন বিশ্বভারতীর বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং ২০২২ সালের প্রশ্ন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি খতিয়ে দেখবে। তার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এ দিন সওয়াল-জবাব শেষে আইনজীবীদের একাংশের পর্যবেক্ষণ, বিচারপতি মান্থার ওই নির্দেশ পরিবর্তন করতে পারে ডিভিশন বেঞ্চ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির বদলে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া যেতে পারে বলে আভাস মিলেছে কোর্টে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশের বিরুদ্ধে পর্ষদের বক্তব্য ছিল, তৃতীয় কোনও পক্ষের দরকার নেই। পর্ষদের নিজের অধিকার আছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার। নতুন কোনও কমিটি হলে যাঁরা পাশ করেছেন তালিকায় তাঁদের অবস্থান বদলে যেতে পারে। পর্ষদের আইনজীবী সুবীর সান্যাল কোর্টে জানান, একটি পরীক্ষা সংগঠিত করতে সময় ব্যয় হয়, পরিশ্রম করতে হয়। যাঁরা পরীক্ষায় অসফল হন তাঁরাই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে মামলা করেন। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম কোর্টের বাইরে জানান, ২০১৭ সালের পরীক্ষায় ২৮টি এবং ২০২২ সালের পরীক্ষায় ২২টি প্রশ্ন নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।