সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এসএসকেএম হাসপাতালকে ওই বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, মেডিক্যাল বোর্ড চাইলে সংশোধনাগারে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক পরীক্ষা করতে পারবে। তার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যেরা।
উল্লেখ্য, বুকে ব্যথার কারণে এমপিআই টেস্ট করতে চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ওই পরীক্ষা করাতে চান বলে আবেদনে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ‘কাকু’র ওই আবেদনে আপত্তি জানায় ইডি। এর পর আদালত এসএসকেএম হাসপাতালকেই ‘কাকু’র শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। আগামী ২৬ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তার পর থেকে তিনি হাসপাতালেই রয়েছেন। মাঝে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদ্যন্ত্রের অস্ত্রোপচারও হয় সুজয়কৃষ্ণের। তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়ে বার বার চেষ্টা চালায় ইডি। যদিও সফল হয়নি। এ নিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের দিকেও আঙুল তুলেছে ইডি। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়েও টানাপড়েন তৈরি দিয়েছিল। অবশেষে গত জানুয়ারিতে আচমকাই এক দিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার পর ফের এসএসকেএমে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে।
এর মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আর্জি জানান সুজয়কৃষ্ণ। আবেদনে জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ। সে কারণে জামিন দেওয়া হোক। সেই মামলার শুনানিতেই কলকাতা হাই কোর্টে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেন এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, সুজয়কৃষ্ণ সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ নন। তিনি ‘আনফিট’। তাঁর আরও চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। সুজয়কৃষ্ণের জামিনের মামলা এখনও ঝুলে রয়েচে আদালতে। তার মাঝে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।