সিএএ নিয়ে রাজ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। —ফাইল চিত্র
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যে বিজ্ঞাপন সরানোর আর্জি জানিয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে, সেটি বন্ধ করা হলেও, অন্য একটি বিজ্ঞাপন চলছিল। আদালত এ দিন সেটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে জানান যে সিএএ এবং এনআরসি সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের যে বিজ্ঞাপন নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সেই বিজ্ঞাপন ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এজির বয়ানের বিরোধিতা করে মামলাকারীর আইনজীবীরা জানান, এখনও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারের তরফে জনস্বার্থে প্রচারিত ওই বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে।
এর পরই এ দিন প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ওই বিজ্ঞাপন অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। জনস্বার্থে প্রচারিত ওই বিজ্ঞাপনে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল এ রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ কার্যকর হবে না।
কোনও কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতা করে একটি রাজ্যের সরকার ওই বিজ্ঞাপন দিতে পারে কি না তা নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তার আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্যে অশান্তি এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মামলা করেন হাওড়ার এক বাসিন্দা। ইন্টারনেট পরিষেবা কেন বন্ধ রাখা হয়েছে, তা নিয়েও পৃথক মামলা হয় হাইকোর্টে। ওই সমস্ত মামলাই এ দিন একসঙ্গে শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে জানায়, আগামী ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। ততদিন ওই বি়জ্ঞাপন কোনও ভাবে প্রচার করা যাবে না। পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্যকে জানাতে হবে কী কী কারণে রাজ্য ওই বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। ততদিন পর্যন্ত সরকারি টাকায় ওই বিজ্ঞাপন না দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের ‘জবাব দিতে’ কোর্ট বৈঠকের পথে রাজ্যপাল
এ দিন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানান যে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে। কোথাও কোনও অশান্তির খবর নেই। পুলিশ যথোপযুক্ত ব্যব্স্থা নিয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যের সমস্ত জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা ইতিমধ্যেই স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজসুর সঙ্গে জোট না হওয়াতেই ঝাড়খণ্ডে খারাপ ফল বিজেপির? ঘুরছে প্রশ্ন
এ দিন প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলকে সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনায় রেলের কী কী ক্ষতি হয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে পরবর্তী শুনানির দিন। তিনি বলেন, রেলকে জানাতে হবে কতগুলি স্টেশনে কী কী ক্ষতি হয়েছে, কতগুলি রেক পুড়েছে।