ভোটের লাইনে।—ফাইল চিত্র।
রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা আজ, বৃহস্পতিবার। লোকসভা ভোটের পর তৃণমূল-বিজেপির জনসমর্থন কোন দিকে, তার আভাস মিলতে পারে এই ফলে। সেই কারণেই বুধবার দিনভর এই উপনির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে অঙ্ক কষেছে শাসক ও বিরোধী শিবির।
এই তিন আসনের মধ্যে খড়্গপুর (সদর) ও কালিয়াগঞ্জ তৃণমূলের হাতে ছিল না। দীর্ঘদিন কংগ্রেসের হাতে খড়্গপুরে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শেষ লোকসভা ভোটেও এই আসনে প্রায় ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে মেদিনীপরের সাংসদ হয়েছেন দিলীপবাবু। সেদিক থেকে খড়্গপুরে এগিয়ে থাকা বিজেপির সঙ্গে এই লড়াইয়ে ব্যবধান কমিয়ে হারানো জমি ফেরানো এবার তৃণমূলের অন্যতম লক্ষ্য। শেষ লোকসভা ভোটে প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকা এই কেন্দ্রে লড়াইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। একইভাবে রাজ্য সভাপতি হিসেবে জয় তো বটেই শক্তি অটুট রাখার চ্যালেঞ্জ বিজেপির রাজ্য সভাপতিরও। সেক্ষেত্রে দুই শিবিরের এই দুই শীর্ষনেতার কাছেই এই ভোট গুরুত্বপূর্ণ। হাতে থাকা খড়্গপুরে বামেদের সমর্থনে লড়াই করলেও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিল না কংগ্রেস।
লোকসভা ভোটের হিসেবে কালিয়াগঞ্জে খড়্গপুরের থেকেও বেশি ভোটে এগিয়ে বিজেপি। সেখানেও হারানো জমি ফিরে পেতেই লড়াই করেছে তৃণমূল। কালিয়াগঞ্জ আসনটি কংগ্রেসের হাতে থাকলেও এই উপনির্বাচনের লড়াইয়ে তাদের সেভাবে দেখা যায়নি। বড় কিছু না হলে এই দুই আসনে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। একই অবস্থা তৃণমূলের হাতে থাকা নদিয়ার করিমপুর আসনেরও। শেষ বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে হাতে থাকা এই আসনে উপনির্বাচনের লড়াইয়ে এগিয়ে তৃণমূল।
নির্বাচনের দিন খড়্গপুর ও কালিয়াগঞ্জের ভোট মোটামুটি নির্বিঘ্ন থাকলেও নজরে এসেছিল করিমপুর। এখানেই যেমন ৯৮ % কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল তেমনই বুথের কাছে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘রাজনৈতিকভাবে তিন আসনেই আমরা ঐক্যবদ্ধ লড়াই করেছি। মানুষ যে রায় দেবেন, তা দেখার পর আলোচনা করব। আমি তো জ্যোতিষী নই।’’ বিজেপি নেতা মুকুল রায় অবশ্য বলেন, ‘‘তিনটি আসনেই বিজেপি জিতবে।’’