খুনের অভিযোগে ধৃত মহিলা। নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের কীর্ণাহারে মহিলাকে খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে, পূর্ব বর্ধমানে খুন হলেন এক মহিলা। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই মহিলার বাড়ি মন্তেশ্বর থানার মামুদপুরের হাজরাপাড়ায়। তাঁকে কুপিয়ে ও গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। খুনের ঘটনার পরেই সন্দেহভাজন এক মহিলাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, হাজরাপাড়ার বাসিন্দা শান্তি হাজরা পরিচারিকার কাজ করতেন। সোমবারও এলাকার একটি বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন। রাতে মামুদপুরের বারাপুর এলাকার একটি নির্জন জায়গা থেকে মহিলা কণ্ঠের চিৎকার শুনে কয়েক জন সে দিকে ছুটে যান। তাঁরা সেখান থেকে এক মহিলাকে ছুটে পালাতে দেখেন। এলাকার লোকজন পিছু ধাওয়া করে ওই মহিলাকে ধরে ফেলেন এবং পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সেখানে পৌছে ওই মহিলাকে আটক করার পাশাপাশি নির্জন জায়গা থেকে শান্তির রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে। কালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মন্তেশ্বরে শান্তি হাজরা নামে এক মহিলাকে খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। খুনে জড়িত থাকার সন্দেহে মন্তেশ্বরেরই এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’
ধৃত মহিলাই কি শান্তিকে খুন করেছেন? দু’জনের মধ্যে কি বিবাদের সম্পর্ক ছিল, নাকি অন্য কোনও ব্যাপার? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।