গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিয়ের মরসুমে দেশের বাজারে বাড়ছে সোনার চাহিদা। তার ফলে বেড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ থেকে সোনা পাচারও! সাম্প্রতিক কালে এত ঘন ঘন সোনা পাচারের ঘটনা ও তার নিত্যনতুন কৌশল দেখে এমনটাই মনে করছেন বিএসএফের তদন্তকারীরা। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অভিযানে বাজেয়াপ্তও হয়েছে বিপুল পরিমাণে সোনা। যার মূল্য ভারতের বাজারে কোটি কোটি টাকা!
বিএসএফ সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে গত এক মাসে অন্তত ২৪ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার বাজারমূল্য অন্তত ২৭ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। শুধু মুর্শিদাবাদের সীমান্ত পথেই বিএসএফ জওয়ানদের হাতে ধরা পড়েছে প্রায় ১৬ কেজি সোনা। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, দেশের বাজারে তার দাম অন্তত ১৪ কোটি টাকা। এ ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের আরও তিন সীমান্ত জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে গত এক মাসে বিএসএফ ১৫ কেজি ৭২২ গ্রাম অবৈধ সোনা উদ্ধার করেছে। যা স্মরণযোগ্য অতীতে ঘটেনি বলেই দাবি। বিএসএফ সূত্রের মত, উদ্ধার হওয়া ওই পরিমাণ সোনার বাজারদাম ১২ কোটি টাকারও বেশি।
তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বাংলাদেশের বাজারে ২৪ ক্যারাটের ১০ গ্রাম সোনার দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৪৫ হাজার টাকার আশপাশে। পশ্চিমবঙ্গে সেই সোনার দাম ৬৩ হাজারের কাছাকাছি। চাহিদা তো বেশি, দামেও এই বিপুল ফারাকের কারণে সীমান্ত এলাকায় সোনা পাচার বাড়ছে। সীমান্ত পার করার সময় কখনও পায়ুদ্বারে, কখনও সাইকেলের টায়ারে লুকিয়ে সোনা পাচার চলছে। অনেক সময় পরনে থাকা পোশাকে ব্ল্যাকটেপ দিয়ে এঁটে সোনা পাচার করছেন পাচারকারীরা। আবার মাছের গাড়িতে লুকিয়ে সোনা পাচার করতে গিয়েও ধরা পড়েছেন অনেকে। পাচারের অভিযোগে সম্প্রতি পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে জানিয়েছে বিএসএফ সূত্র।
বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য বলেন, ‘‘সীমান্ত টপকে অবৈধ ভাবে সোনা পাচারের ঘটনায় ধরপাকরের ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর বিএসএফের সফলতা বাড়ছে। বিগত এক মাসের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে সীমান্ত থেকে।’’