পাচারের আগেই বাজেয়াপ্ত পালস অক্সিমিটার। নিজস্ব চিত্র।
অবৈধ ভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালস অক্সিমিটার পাচার করতে গিয়ে হাতানাতে পাকড়াও ট্রাক চালক। এ রাজ্য লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোলে ওই ট্রাকটিকে আটক করে বিএসএফ। উদ্ধার হয় প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার অক্সিমিটার। বাংলাদেশ থেকে কোথায় এত পরিমাণে অক্সিমিটার পাচারের চেষ্টা চলছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
করোনার কারণে, হঠাৎ এ রাজ্যে পালস অক্সিমিটারের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। কারও শরীরের করোনা থাবা বসালে, সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফুসফুস। অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপাও হচ্ছে অক্সিমিটারের সাহায্য। আবার অনেকেই এই যন্ত্রের মাধ্যমে নিজের শরীরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক আছে কিনা, তা জেনে নিচ্ছেন।
সে কারণে প্রচুর চাহিদা বেড়েছে অক্সিমিটারে। কিন্তু ওষুধের দোকানে জোগান নেই। এই সুযোগে একাংশের ব্যবসায়ীরা কালোবাজারি করছে বলে অভিযোগ উঠছিল। শুধু এ রাজ্যেই নয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতেই অক্সিমিটারের চাহিদা তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: এ বার মহাশূন্যে পাড়ি জমাতে পারেন আপনিও, যানের ছবি সামনে আসতেই ভাইরাল
আরও পড়ুন: কংক্রিটের বাঙ্কারও গুঁড়িয়ে দেবে রাফালের 'হাতুড়ি'
মঙ্গলবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ সীমান্তে তল্লাশির সময় ১৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৫০০ টাকার ফিঙ্গার টিপস পালস অক্সিমিটার উদ্ধার করে বিএসএফ। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তরফ জানানো হয়েছে, একটি ট্রাক আটক করা হয়। ওই গাড়ির চালককে বনগাঁর বাসিন্দা জনি বৈদ্য জেরায় জানান, বাংলাদেশর যোশর বাসিন্দা বাপি মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি তাঁকে এই অক্সিমিটার পৌঁছে দেওয়ার বরাত দিয়েছিল। বলা হয়, পেট্রাপোলে সুকুমার নামে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবে। এ জন্য তাকে পাঁচশো টাকা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জনৈক ওই ব্যক্তি। কিন্তু সুকুমারকে অক্সিমিটার দেওযার আগেই তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিএসএফ পেট্রাপোল পুলিশ স্টেশনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই গাড়ির চালককে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অক্সিমিটারও।