প্রতীকী ছবি।
আগে থেকেই কর্মসূচি ঠিক ছিল। কৃষকদের দাবি-সহ একগুচ্ছ বিষয়কে সামনে রেখে সোমবার রাজ্যের সব জেলা সদরে ধর্না-অবস্থান করবে সিপিএম। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী এ দিন তারা পথে নামে। কিন্তু, সর্বত্র শান্তিপূর্ণ অবস্থান হলেও ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে উত্তর ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়ায়।
ওই ধর্না-অবস্থানকে ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে জেলাশাসকের দফতর রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা বাম নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে চলল লাঠি, কাঁদানে গ্যাস এমনকী জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরে ফাটে বোমাও!
সিপিএম সূত্রে জানানো হয়েছে, সামনেই উৎসবের মরসুম। তার পরেই দলের সম্মেলন প্রক্রিয়া। তার আগে সংগঠনকে চাঙ্গা রাখতে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে পথে নামার ঘোষিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। ওই কর্মসূচিকে ঘিরে জেলায় জেলায় বড় জমায়েত করার পরিকল্পনা করা হয়। কলকাতার ক্ষেত্রে ওই কর্মসূচিই ‘লালবাজার অভিযান’ আগামী ১৩ তারিখ হওয়ার কথা। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে জমায়েত করে ১৩ তারিখ লালবাজারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করবে বাম সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন: পৈশাচিক! গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে বিয়ারের বোতল
পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী, এ দিন সকালেই বারসতে জেলাশাসক দফতরে জমায়েত হওয়া শুরু হয়। বাম কর্মী সমর্থকেরা জানিয়েছেন, সেই সময় প্রচুর পুলিশ কর্মী সেখানে মোতায়েন ছিলেন।
তাঁরা যখন জেলাশাসক দফতরে ঢোকার চেষ্টা করেন, সেই সময়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কিও। পুলিশের তাড়া খেয়ে তাঁরা যখন পাশের আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন, সেই সময় আইনজীবীদের উপরেও পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। তিন পক্ষের গণ্ডগোলে গোটা এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
ঠিক সেই সময়েই জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরেই একটি বোমা ফাটে। আর তার পরেই পরিস্থিতি পুলিশের হাতের বাইরে চলে যায়। উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। চলে বেধড়ক লাঠিচার্জ। ঘটনায় বেশ কয়েক জন বাম কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। বামেদের অভিযোগ, গোটাটাই পূর্ব পরিকল্পনা মতোই করেছে ‘শাসকদলের পুলিশ’।