মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবি তুলল বিজেপি পরিষদীয় দল। ফাইল চিত্র।
মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে সরব হবে বিজেপি। সোমবার বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় শোভনদেব গোর্খাদের বহিরাগত ও আদিবাসীদের পরিযায়ী বলেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি পরিষদীয় দল। যদিও পরিষদীয় মন্ত্রী বিজেপি পরিষদীয় দলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অধিবেশন শেষ হলে বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা ও কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা। সেখানেই স্থির হয় মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশন শেষ হলেই উত্তরবঙ্গের বিধায়করা ফিরে গিয়ে মন্ত্রী শোভনদেবের বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন। উত্তরবঙ্গের যে সমস্ত জায়গায় গোর্খা ও আদিবাসীদের বাস সেখানেই আন্দোলন সংগঠিত করতে চায় বিজেপি পরিষদীয় দল।
বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আমরা আজ বিধানসভার অধিবেশনে বর্ষীয়ান রাজনীতিক শোভনদেবের কথায় আহত হয়েছি। কারণ তিনি গোর্খাদের বহিরাগত বলেছেন। সঙ্গে তিনি আদিবাসীদের পরিযায়ী বলেছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা মনে করি গোর্খারা কোনও ভাবেই বহিরাগত নন। আর আদিবাসীরাও পরিযায়ী নন, তাঁরা মূলবাসী। তাই মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা করছি।’’
যদিও মন্ত্রী শোভনদেবের পাল্টা জবাব, ‘‘আমি কখনওই গোর্খাদের বহিরাগত কিংবা আদিবাসীদের পরিযায়ী বলিনি। কয়েকটি ইতিহাস বইয়ের ঘটনার উল্লেখ করে গোর্খাদের বীর বলেছি। আদিবাসীদের কথাও বলেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার মন্তব্যকে বিকৃত করে রাজনীতি করা হচ্ছে। কেউ যদি আমার কথাকে বিকৃত করে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে তা নিন্দাজনক।’’ শোভনদেবের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল পরিষদীয় দল। তাদের কথায়, বিজেপির কাজই হল তথ্য বিকৃত করা এবং সেই বিকৃত তথ্য নিয়ে রাজনীতি করা। এ ক্ষেত্রেও ওরা তাই করছে।