অমিত শাহ।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ২২টিকে পাখির চোখ করে লড়াইতে নামছে বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, ওই ২২-এর তালিকায় উত্তরবঙ্গের ৭টি এবং দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি লোকসভা আসন রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দলীয় সাংসদ মিলিয়ে ৫ জনের মধ্যে ওই ২২টি আসন ভাগ করে দিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বলে দিয়েছেন, ওই ৫ জনকে নিজের নিজের ভাগে থাকা লোকসভা আসনগুলির
‘পালক’ হিসাবে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ, এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে দলের সংগঠন এবং জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। যাতে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ওই ২২টি আসন অবশ্যই বিজেপি-র ঝুলিতে আসে।
আরও পড়ুন: দলত্যাগীকে কটাক্ষ অধীরের
বস্তুত, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব আগামী লোকসভা ভোটে যে কোনও মূল্যে দেশের অ-বিজেপি রাজ্যগুলি থেকে ভোট এবং আসন বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কারণ, তাঁরা মনে করছেন, এখন যে সব রাজ্যে দল সরকারে আছে, সেই জায়গাগুলিতে জনপ্রিয়তা ইতিমধ্যেই তুঙ্গে রয়েছে। তা আর নতুন করে বাড়ানো সম্ভব নয়। বরং, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে সেই জায়গাগুলির কোথাও কোথাও মানুষের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মানসিকতা থেকে ভোট কিছুটা কমতে পারে। এই প্রেক্ষিতেই লোকসভা ভোটের দু’বছর আগেই ঘর গোছাতে নেমে পড়েছেন মোদী-শাহ জুটি।
বিজেপি সূত্রের আরও খবর, এ রাজ্যের ২২টি লোকসভা কেন্দ্রের পাঁচ পালকের অন্যতম কেন্দ্রীয় অর্থ এবং কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তিনি অমিতের সঙ্গে বৈঠকের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এ দিন খড়্গপুরে এসে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘অর্জুন রাম মেঘওয়াল বৈঠক করেছেন। আর কোন কোন মন্ত্রী বা সাংসদ পালক হয়ে আসবেন, তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাদের পরে জানাবেন।’’