শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ ফাইল চিত্র।
বিজেপির পুরভবন অভিযানে সোমবার দেখা যায়নি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তার দু’দিন আগে দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে বিধায়কদের কর্মশালায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বার্তা দিয়েছিলেন, দলকে না জানিয়ে বিধায়কেরা যেন নিজের মতো কোনও কর্মসূচি না নেন বা কোথাও চলে না যান। রাজ্য সভাপতি বেরিয়ে যাওয়ার পরে সেই কর্মশালায় ঢুকেছিলেন শুভেন্দু। দু’জনের সমীকরণ নিয়ে দলের ভিতরে-বাইরে নানা জল্পনার আবহেই মঙ্গলবার বিধানসভায় এসে বিরোধী দলনেতা ও দলের বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে বিধানসভায় তাঁর ছবিতে এবং ময়দানে মূর্তিতে মালা দেন বিজেপি নেতারা।
বিধানসভার অলিন্দে এ দিন বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন দিলীপবাবু। সেখানে ছিলেন দলের অন্য বিধায়কেরাও। এর আগে নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে এক বার বৈঠক করতে এসেছিলেন রাজ্য সভাপতি, শুভেন্দু সে দিন ছিলেন না। আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে এ দিন কেউই বাইরে মুখ খোলেননি। তবে বিধানসভায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধের যে অভিযোগ শুভেন্দু তুলেছেন, তারই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে দিলীপবাবুর কণ্ঠে। তিনি বলেছেন, ‘‘বিরোধীদের কথা বলার অধিকার সব সময় আছে। সংখ্যা থাকলেই যা খুশি করা যায় না। বিরোধী দলনেতাকে বাবা তুলে আক্রমণ করা হচ্ছে, এ জিনিস ভাবা যায় না!’’ সরকারের বিরুদ্ধে সুযোগ পেলেই আক্রমণে যাওয়ার পরামর্শই বিধায়কদের দিয়েছেন দুই নেতা। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, ‘‘গণতন্ত্র বা সংসদীয় রীতি-নীতি কিছুই ওঁরা জানেন না। যেন তেন প্রকারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে হইচই বাধানোই ওঁদের উদ্দেশ্য।’’ বিধানসভার অলিন্দে এ দিন মদন মিত্র-সহ তৃণমূল বিধায়কদের একাংশের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় হয় দিলীপবাবুর।