Subhas Sarkar

ভিড় মাঠ, সংক্রমণ নিয়ে তোপ সুভাষের

জেলা পুলিশের হিসেবে, এ দিনের সভায় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ ছিলেন।

Advertisement

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় 

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৩৬
Share:

শ্রোতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায়। বুধবার বাঁকুড়ার সুনুকপাহাড়ির হাটতলায়। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

‘রেকর্ড’ ভিড় হবে বলে দাবি করেছিলেন জেলার তৃণমূল নেতারা। বুধবার বাঁকুড়া ১ ব্লকের সুনুকপাহাড়ির হাটতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার মাঠ ভরিয়ে মুখে হাসি ফুটেছে তাঁদের। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, স্বাস্থ্য-বিধি মেনে চলা হয়েছে। ঠিক যেমন আশ্বাস সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়েছিলেন মুখমন্ত্রী, বাস্তবেও তেমনই ঘটেছে। যদিও বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, ‘‘এই সভার পরে যদি জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়ে, তার দায় তৃণমূল নেত্রীকে নিতে হবে।”

Advertisement

জেলা পুলিশের হিসেবে, এ দিনের সভায় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ ছিলেন। জেলা তৃণমূলের দাবি, সংখ্যাটা অন্তত দেড় লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে বলেন, “অনেক গাড়ি এখনও রাস্তায় আটকে আছে। আমিও আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অনেক গাড়ি পাস করালাম। অনেকে হয়তো এখনও আসতে পারেননি। তাঁরা এলে, হয়তো স্থানের অভাব হবে। কয়েকশো বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।”

সুভাষবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমার কাছে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বেশি হলে ৫০ হাজার মানুষ ছিলেন। পুলিশ ও তৃণমূল বাড়িয়ে বলছে। প্রচুর বাস তুলে নিয়ে মানুষের ভোগান্তি করেছে তৃণমূল। কিন্তু ভিন্ জেলা থেকে লোক এনেও সভাস্থল ভরাতে পারেনি।’’

Advertisement

গত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার দু’টি কেন্দ্রেই জিতেছে বিজেপি। ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে জেলার বারোটি বিধানসভাতেই বিজেপির থেকে পিছিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, “এ দিনের ভিড় প্রমাণ করেছে, আগামী বিধানসভা ভোটে জেলার সব ক’টি কেন্দ্রেই ঘাসফুল ফুটতে চলেছে। যাঁরা এসেছিলেন, সবাই বাঁকুড়ারই বাসিন্দা। ভিড় দেখেই বিজেপির মাথা ঘুরে গিয়েছে।”

তৃণমূল সূত্রের খবর, সভার জন্য জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রায় ১,৭০০ বাস ও কয়েকহাজার ছোট গাড়ি ভাড়া করা হয়েছিল। গাড়ির চাপে সকাল থেকেই বাঁকুড়ার পোয়াবাগান মোড়ে যানজট লেগে ছিল। বাসের অভাবে বাঁকুড়া শহর ও বিষ্ণুপুরে অনেককে বাসস্ট্যান্ডে ভিড় করতেও দেখা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পোয়াবাগান পেরিয়ে ভগবানপুরের কাছে গাড়ির ভিড় দেখেন। গাড়ি থেকে নেমে দলীয় কর্মীদের কিছু গাড়ি এগিয়ে দিয়ে, তার পরে সভাস্থলের দিকে যান। দুপুর ২টো ১০ মিনিট নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে উঠে কলকাতা রওনা হন। তার পরেও পোয়াবাগানে কয়েক ঘণ্টা যানজট ছিল। সভাস্থলে ঠাসাঠাসি ভিড় ছিল। মঞ্চের পাশে হেলিপ্যাড ঘিরেও উপচে পড়েছিল ভিড়। চার বছরের ছেলেকে নিয়ে সভায় এসেছিলেন ছাতনার শঙ্করী হেমব্রম। কারও মাস্ক ছিল না। ওই বধূ বলেন, ‘‘এলাকায় করোনা নেই। আমরা ওই রোগকে ভয় পাই না।”

জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামলবাবু অবশ্য বলেন, “সবাইকে মাস্ক দেওয়া হয়েছিল। সভার মাঠে জায়গা অনেকটা। মানুষ দূরত্ব-বিধি মেনেই দাঁড়িয়েছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে কেউ কেউ হয়তো ভিড় করে ফেলেছিলেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement