‘দুয়ারে সরকার’-এর ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছেন বিজেপি নেতা অর্ণব শূর। নিজস্ব চিত্র।
দু’টি ভিন্ন জেলা। কিন্তু একটি ঘটনাই যেন সেই দুই জেলাকে মিলিয়ে দিল। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় দেখা গেল ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের ফর্ম ভরে দিচ্ছেন এক বিজেপি নেতা। তাঁকে সাহায্য করছেন আরও কয়েক জন বিজেপি কর্মী। গত অগস্টেই পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সদর শহর একই ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর ফর্ম পূর্ণ করে দিতে দেখা গিয়েছিল সিপিএম নেতাকে। ঘটনাচক্রে সেই সময় সিপিএম নেতা সরকারি এই প্রকল্পের ফর্ম ভরে দেওয়ার জন্য কটাক্ষও ছুড়ে দিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল-সিপিএমকে একই কয়েনের দু’পিঠ বলে আক্রমণ করেছিলেন। কিন্তু সেই বিজেপি-কেই এ বার দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ফর্ম ভরে দিতে দেখা গেল।
দুয়ারে সরকার শিবির চলছিল বনগাঁর কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বল্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানেই দেখা যায় বিজেপি নেতা তথা বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ণব শূর, কালুপুর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য লতিকা শূর, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, হরিদাস রায়রা টেবিল পেতে ফর্ম পূরণ করে দিচ্ছেন। বহু মানুষ তাঁদের সামনে ভিড় করে ফর্ম পূরণ করান। বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে জানলেন। সরকারি প্রকল্পের কাজে বিজেপি নেতাদের সহযোগিতা করতে দেখে উচ্ছ্বসিত সকলেই। সাধুবাদ জানালেন তৃণমূল নেতৃত্বও। যদিও এ নিয়ে বিজেপি-র তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে বিষয়টিতে কোনও রাজনীতি দেখতে চাইছেন না অর্ণবরা। মানুষের স্বার্থেই এবং রাজনীতি এবং দলের ঊর্ধ্বে উঠেই এ কাজ করছেন বলে দাবি অর্ণবের। তাঁর কথায়, “এটা রাজনীতির পরিসর নয়। যে মানুষগুলি ভোট দিয়ে আমাকে পঞ্চায়েত ভোটে জিতিয়েছিলেন তাঁদের সহযোগিতা করছি। আমরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের পাশে থাকাটাই আসল রাজনীতি।” বিজেপি নেত্রী লতিকা শূর বলেন, “মানুষের জন্য দল, দলের জন্য মানুষ নয়৷ মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে জিতিয়েছে৷ তাই এখানে এসে সকাল থেকে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করছি।”
অন্য দিকে, কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “আমাদের সরকার মানুষের উন্নয়নের কথা বলে। আজ বিজেপি নেতারা এসে সহযোগিতা করছেন৷ কালুপুর এলাকায় আমরা একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি।”