(বাঁ দিকে) সিভি আনন্দ বোস। শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’দের নিয়ে আবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে নতুন করে আবেদন করতে হবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যদি রাজভবন অনুমতি দেয়, তবে সেখানে যেতে পারবেন তাঁরা। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। সেই কথা মতো রবিবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে থাকবেন ভোট পরবর্তী হিংসায় শাসকদলের হাতে ‘আক্রান্ত’রা।
শনিবার বিরোধী দলনেতার দফতর সূত্রে তাঁর রবিবারের এই কর্মসূচির কথা জানা গিয়েছে। রাজভবন থেকে বিরোধী দলনেতাকে সাক্ষাতের জন্য সন্ধ্যা ছ’টায় আসতে বলা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’ মানুষজনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা ছিল তাঁদের। যদিও শেষ পর্যন্ত রাজভবনের ভিতরে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। শুভেন্দুর অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে। সে কারণে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ফিরে যেতে বাধ্য হন তাঁরা। তার পরই ‘আক্রান্ত’দের থাকার ব্যবস্থা করা হয় মাহেশ্বরী ভবনে।
শুক্রবার রাজ্যপাল বোস উত্তর কলকাতার মাহেশ্বরী ভবনে ‘ঘরছাড়া’ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তাদের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে কড়া বার্তা দেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলবও করেছেন। সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন রাজভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এটা সংবিধান বিরোধী।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বেশ কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। আমি কিন্তু চুপ করে থাকব না। আমার সঙ্গে কেউ দেখা করতে এলে তাঁদের আটকানো উচিত নয়। এই ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’
বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’ প্রায় ২০০ জনকে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে তাঁদের পুলিশ ঢুকতে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পুলিশের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার তাঁর আইনজীবী হাই কোর্টে সওয়াল করেন, রাজভবনের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও বাধা দিয়েছে পুলিশ। অথচ যে জায়গায় শুভেন্দুদের আটকানো হয়েছে, সেখানে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কর্মসূচি পালন করেছে গত বছরের অক্টোবরে। শুভেন্দুদের কেন বাধা দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাই কোর্ট। সঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে আবারও সাক্ষাতের জন্য রাজভবনে আবেদন করতে বলেন। বিরোধী দলনেতার দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবারই আবেদন জানানো হলে রবিবার সন্ধ্যায় শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল।