শতাধিক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ শুভেন্দুর। — ফাইল ছবি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির আবহেই এ নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করলেন, তৃণমূলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক নিয়োগকাণ্ডে সরাসরি এজেন্টের কাজ করেছেন। পাল্টা শুভেন্দুকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার বড়ঞার বিধায়কের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তার পর থেকে লাগাতার চলছে তল্লাশি অভিযান। এ বার তা নিয়ে মুখ খুলে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে। অসংখ্য এমএলএ এজেন্টের কাজ করেছে। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বেচেছে। মেধা চুরি হয়েছে। যে দিকে যাচ্ছে, আমার তো মনে হয়, বিধানসভাতে আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তোলামুলের এমএলএ সংখ্যা ১০০-তে নেমে যাবে।’’
শুভেন্দুর দাবিকে অবশ্য প্রত্যাশিত ভাবেই গুরুত্ব দিতে চায়নি শাসকদল। তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ, যাঁকে ক্যামেরায় কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তিনি সততার প্রতীক সাজছেন! তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘‘শুভ নববর্ষের শুভলগ্নে লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতার মানসিক সুস্থতা কামনা করি। যাকে ক্যামেরায় প্রকাশ্যে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। যাঁর নাম সিবিআইয়ের এফআইআরে পর্যন্ত রয়েছে। শুভেন্দুবাবু, নিজের দলের বিধায়ক কত জন, সেটাও বলতে পারবেন না। তাঁর মুখ থেকে এ সব কথা মানে পাগলের প্রলাপ! নতুন বছরে আমি তাঁর মানসিক সুস্থতা কামনা করি।’’
২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে, এখনও সিবিআই তল্লাশি শেষ হয়নি তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে। সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীনই তিনি অসুস্থতার কথা বলে বাড়ির বাইরে চলে যান। শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পাঁচিল টপকে নিজের দু’টি মোবাইল ফোন ফেলে দেন পাশের পুকুরে। সেই পুকুরের জল তুলে ফেলে মোবাইলের সন্ধান এখনও চালাচ্ছে সিবিআই। এ ছাড়াও নববর্ষের দিন কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই।