চাঁচাছোলা ভাষায় রাজ্য নেতৃত্বকে আক্রমণ। ফাইল চিত্র
সুকান্ত মজুমদারের নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই নানা ক্ষোভ বিক্ষোভের সামনে পড়েছে। জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে দলের ভিতরের গোলমালে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। শনিবার বালিগঞ্জ ও আসানসোলে হারের দিনে গেরুয়া শিবিরের সেই অস্বস্তি ফিরিয়ে আনলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সরাসরি রাজ্য নেতৃত্বকেই আক্রমণ করলেন। তিনি বলেন, ‘‘অপরিণত রাজ্য নেতাদের নেতৃত্বে ভাল ফল আশা করা যায় না। অপরিণত নেতাদের জন্যই উপনির্বাচনে এই ফল হয়েছে।’’
বালিগঞ্জে জয়ের আশা করেনি বিজেপি। কিন্তু জামানত জব্দ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কাও ছিল না। তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী জামানত রক্ষা করতে পারেননি। অন্য দিকে, পর পর দু’বার জেতা আসানসোলে গো-হারা হেরেছে বিজেপি। তিন লাখের বেশি ব্যবধানে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা। এই ফলের জন্য দলের বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের নিন্দা করার পাশাপাশি তৃণমূলের থেকে বিজেপিকে অনেক কিছু শিখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সৌমিত্র। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিষয়টি ভাবা উচিত।’’ এর পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করায় বিজেপি যে নেতাদের থেকে দূরত্ব তৈরি করেছে তাঁদের ফিরিয়ে আনা উচিত বলেও মন্তব্য করেন সৌমিত্র। বলেন, ‘‘যাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছিল তাঁদের ফেরানোর কথা ভাবা উচিত।’’
অতীতে অনেক বার দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন সৌমিত্র। নানা সময়ে তাঁর নানা মন্তব্য নিয়ে নাজেহাল হয়েছেন বিজেপি নেতারা। দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকার সময়ে যুব মোর্চার সভাপতি ছিলেন তিনি। কিন্তু সুকান্তের জমানায় সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বয়সের কারণ দেখিয়ে যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে সরানো হলেও সৌমিত্রকে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি করা হয়। মুখে না বললেও নতুন রাজ্য কমিটি নিয়ে যে সৌমিত্রের অসন্তোষ রয়েছে, তা তিনি ঘনিষ্ঠমহলে আগেই প্রকাশ করেছেন। এ বার মুখ খুললেন। তবে শনিবারের মন্তব্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।