সজল ঘোষ। ছবি: সজল ঘোষের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।
মধ্য কলকাতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষ মুচিপাড়া-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সোমবার শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন তিনি। তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক। তবে সজলের জামিন হলেও আপাতত তাঁকে কয়েকটি শর্ত মেনে চলতে হবে। সজলকে ২০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে সপ্তাহে দু’দিন তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে সজলকে দেখা করতে হবে।
গত শুক্রবার মুচিপাড়ায় বাড়ির দরজা ভেঙে সজলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, স্থানীয় এক তৃণমূল যুবনেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন সজল এবং তাঁর সঙ্গীরা। যদিও সে অভিযোগ নস্যাৎ করেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। বিজেপি-র তরফেও সেই অভিযোগ উড়িয়ে গোটা ঘটনাকে তৃণমূলের মস্তানি বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের একটি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে বিশাল সিংহ নামে স্থানীয় এক বিজেপি কর্মীর দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে স্থানীয় একটি ক্লাবেও হামলা চালানো হয়। এর পর সজলের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা মুচিপাড়া থানায় বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরাও পাল্টা বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, থানার ভিতরেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পরের দিন সকালেও দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূলের অভিযোগ, স্থানীয় এক যুবনেতার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন সজল এবং তাঁর সঙ্গীরা। এর পর সজল এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর এবং ‘ইভটিজিং’-এর দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ মুচিপাড়ায় সজলের বাড়ির দরজা লাথি মেরে ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। রাতে সজলের বাড়িতে যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গোটা ঘটনার নিন্দা করেন শুভেন্দু। বলেন, এটা তৃণমূলের মস্তানি। সেই সঙ্গে সজলের পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
গত শনিবার সজলকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে দু’দিন তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। সোমবার ভার্চুয়াল শুনানি শেষে তাঁর জামিনের নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর।